ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান বসতে পারে বৃহস্পতিবার

সাজ্জাদ হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান বসতে পারে বৃহস্পতিবার

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মাসেতুর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসতে পারে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি)। এ জন্য বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনের সহায়তায় স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে রাখা হয়েছে।

 

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১২-১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে ‘টু-এফ’ স্প্যানটিকে। আবহাওয়া অনুকূল এবং কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারে বসিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

দুই পিলারের স্থাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। আর এ স্প্যানটিকে সফলভাবে স্থাপন করা গেলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৬ হাজার ১৫০ মিটার। বিজয়ের মাসে শেষ হবে স্প্যান বসানোর কাজও।  

বিকেল ৫টা ৫মিনিটে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে বহন করে রওয়ানা করে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে। সফলভাবে স্প্যানটিকে স্থাপনের জন্যই স্প্যানটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একদিন আগে।  

পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করার কাজটি করা হচ্ছে। রাতের মধ্যেই নোঙর করার কাজটি সম্পন্ন করে রাখা হবে। সারারাত দুই পিলারের কাছেই অবস্থান করবে। ভাসমান ক্রেনটির নিরাপত্তার জন্য পিলারের এ অংশে নৌযান না চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন।  

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্প্যানটিকে বসানোর কার্যক্রম শুরু করবে। দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভাসমান ক্রেনটি পজিশনিং করে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। রাখা হবে দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। এ স্প্যানটি বসানোর জন্য ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলেই দৃশ্যমান হবে সেতুর ৬ হাজার ১৫০ মিটার। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুরের মধ্যে স্প্যান বসানো শেষ হতে যাচ্ছে। আর এখন শেষ ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাচাই-বাছাই চলছে।  

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।