মাদারীপুর: এক ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকা! উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক যুবক বলেন এমনটি। পদ্মা সেতু চালু হলে শিবচর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মূলত পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করেই রাজধানী ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে এক্সপ্রেস হাইওয়ে। ফোরলেন এ এক্সপ্রেসওয়েতে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য রয়েছে আলাদা দু’টি লেন। ফলে দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে সড়কে কোন ছোট পরিবহন চলতে পারবে না। এ ছাড়া ওই দুটি লেন দিয়ে স্থানীয় পরিবহন ও লোকাল পরিবহন চলবে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে পরিবহন। এ পুরো এক্সপ্রেস পথেরদূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। দূরপাল্লার পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে একটানা চললে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিবহন চালকেরা।
জানা যায়, ২০১৬ সালে কাজ শুরু হওয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ১২ মার্চ সড়কটি যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপরই এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পেতে থাকে সাধারণ মানুষ। ঢাকা যেতে শুধু নৌপথ ছাড়া বাকি পথে নেই কোনো ভোগান্তি। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে সহজেই প্রতিদিন রাজধানীতে পৌঁছাতে পারবে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা। তেমনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ২১ টি জেলায় পৌঁছাতে নৌপথের বাধা থাকবে না।
চারলেনের এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কান অর্গানাইজেশন (পশ্চিম)। এক্সপ্রেসওয়েতে ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন সূর্যনগর বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর মৃধা বলেন, ‘সড়কটির কাজ যখন চলমান ছিল তখন প্রচুর ধুলাবালিতে মাঝে মধ্যে বিরক্ত হতাম। কিন্তু এখন মহাসড়কের দিকে তাকালেই শান্তি লাগে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে মোটরসাইকেলে একটানে ঢাকা পৌঁছাতে পারবো। '
রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অন্যতম বাধা পদ্মা। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে নৌপথের এ ভোগান্তি দূর হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকা পৌঁছাতে পারবে এ অঞ্চলের মানুষ। পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান উঠানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের সূর্য উঁকি দিল মনের আকাশে'-এমনটাই ভাবছেন এ এলাকার সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ওএইচ/