মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা সেতুতে ৪১তম ও সবশেষ স্প্যান ‘টু-এফ’ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হচ্ছে এ স্প্যানটি।
এদিকে, বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৫মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে রওয়ানা দেয়। এরপর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এসে পৌঁছায়। আজ শুধু পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলার কাজ চলছে। এর আগে নোঙর করার কাজটি করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে, পজিশনিং, এরপর পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলা ও বেয়ারিংয়ের উপর রাখার ধাপগুলো শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুরের আগেই দৃশ্যমান হবে। সকাল থেকে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই ও শেষ ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে।
এদিকে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের আশেপাশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোট সারাক্ষণ সেখানে অবস্থান করছে। নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানো হচ্ছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ওএইচ/