মাদারীপুর: শুকনো মৌসুমে নাব্যতা সংকট, বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতা, শীতে ঘন কুয়াশা আর ঈদে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ! সব মিলিয়ে এ নৌরুটে ফেরি পারাপার হওয়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালকদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। পদ্মা পার হতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা থেকে শুরু করে দিনের পর দিন ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রায়ই।
সর্বশেষ স্প্যানটিও উঠেছে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর)। এর মধ্য দিয়েই মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে মাদারীপুর-শরীয়তপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হতে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
পদ্মা পার হবার অপেক্ষায় শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে থাকা ট্রাকচালক মো. মামুন বলেন, ‘পদ্মা পার হতে কষ্টের আর সীমা থাকে না। এখন আবার কুয়াশা বিড়ম্বনা। দুর্ভোগ নিয়ে পদ্মা পার হতে হচ্ছে। তবে এ দুর্ভোগ আর বেশি দিন পোহাতে হবে না। পদ্মা সেতু তো হয়েই গেছে প্রায়!'
অপর চালক নূরুল ইসলাম বলেন,'ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের আর বসি থাকতি হবে না। সেতুর ওপর দিয়ে হনহনাইয়া চইল্যা যামু। বেশি দিন বাকি নাই। '
শিবচরের দত্তপাড়া এলাকার ফররুখ আহমেদ বলেন, 'পরশু দিন পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম। কিন্তু কুয়াশার কারণে ১০টা পর্যন্ত ফেরি বন্ধ ছিল। ঘাটে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল হয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে না পেরে ফিরে এসেছিলাম। এ দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হতে বেশি দিন বাকি নাই! আজ সর্বশেষ স্প্যান উঠছে। '
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে নৌরুটে ১০ থেকে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, 'শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। দুর্ঘটনা রোধে বন্ধ রাখতে হয় নৌযান চলাচল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
এসআই