ঢাকা: দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সবশেষ স্প্যান। ৪১তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ৬ হাজার ১৫০ মিটার সেতুর অবকাঠামো এখন দৃশ্যমান।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান বসানোর পর পদ্মা নদীর মাওয়া প্রান্তে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। ইতিহাসের সাক্ষী হতে নদীতীরে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ।
মাওয়া প্রান্তে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের উচ্ছ্বাসের কথা। স্থানীয়রা পদ্মাসেতুর সবশেষ স্প্যান বসানোয় আনন্দে উদ্বেলিত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পদ্মাসেতুর বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলেও তারা আশাবাদী।
শিমুলিয়ার চা দোকানি আব্দুল খালেক বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজ কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসায় আমরা আনন্দিত। সেতু চালু হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে আশা করি।
লৌহজং থানার রাণীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ খালাসী বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার মাধ্যমে এ দেশের সব মানুষ সন্তুষ্ট। দেশবাসীর দাবি অনুযায়ী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মাসেতু বানানোতে যেমন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, তেমনি শেষ হলে আরো অনেক বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
স্থানীয় রাণীগাঁও গ্রামের আরো একজন বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ পারাপার করতে অনেক সময় লাগতো। পদ্মাসেতু হলে সেই সময় বেঁচে যাবে। এরআগে ঘাটে অপেক্ষা করতে গিয়ে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে মানুষ যেমন দ্রুত যাওয়া-আসা করতে পারবে, ঠিক তেমনি মুমূর্ষ রোগীরা দ্রুত উন্নত চিকিৎসা পাবে। এছাড়াও পদ্মাসেতু হলে মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্য অনেক ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আরটিভির জেলা প্রতিনিধি মো. শেখ শিমুল বলেন, আমি পদ্মাসেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর দিন থেকে দিন থেকে আজ সবশেষ স্প্যান বসানোর দিন পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। তাই আজ যথেষ্ট আনন্দ লাগছে। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ সম্পন্ন করার যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সরকার নিয়েছিল, সেই চ্যালেঞ্জ পূরণ হওয়ায় একজন বাঙালি হিসেবে অত্যন্ত গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
আরকেআর/এএ