খুলনা: সরকার নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। যা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ব্র্যাক, পল্লী সমাজ, ব্লাস্ট, জেজেএস, মাসাস, কেএমএসএস, লেখিকা সংঘ, রূপান্তর, লনা মহিলা সমিতি, ডাব্লিউইএস, মহিলা পরিষদ জেলা শাখা, জন উদ্যোগ, খুলনা, গুণীজন স্মৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু। সভা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম ও অজন্তা হালদার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিপিবি নারী সেলের সুতপা বেদজ্ঞ, জন উদ্যোগ, খুলনার মহেন্দ্রনাথ সেন, ব্র্যাকের নয়ন কুমার ঘোষ, আই আরভি’র মেরিনা যুথি, জেজেএস’র তাসলিমা খানম, হিউম্যানিটি ওয়াচের শরিফুল ইসলাম সেলিম, পরিবর্তনের কাজী বাবর আরী, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার ইসরাত আরা হীরা, মো. আরিফ সানা, নাজমীন ইসলাম, নূরুন নাহার হীরা, এডাবে রেজাউল করিম, গ্লোবাল, খুলনান শাহ মামুনার রহমান তুহিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা মানবাধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। এ নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সঙ্গে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা মুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ এর স্থলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ এর বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু খুলনা বিভাগীয় শহরে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপনসহ ফরেনসিক বিভাগের অভিজ্ঞ শিক্ষকের সংকট কাটছে না। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করাসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
এমআরএম/আরবি