ঢাকা: নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, কৃষক স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে একশটি যুবশপ ও এক্সপেস কিচেন এবং একশটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ফোর্থ আইআর অ্যাগ্রো ইনোভেশনস অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের মধ্যে ‘কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যুব উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, কৃষক স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ অন্য এলাকায় প্রাথমিকভাবে একশটি যুবশপ ও এক্সপেস কিচেন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সারাদেশে একশটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের উৎপাদন থেকে শুরু করে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বিপণন (আউটলেট ও অনলাইন) ও ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানো নিশ্চিত করে একটি কৃষি-ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। এর মাধ্যমে এসডিজির একাধিক লক্ষ্য এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
‘এ প্রকল্প দেশের যুব উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষকের নায্যমূল্য প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. আখতার হোসেন এবং ফোর্থ আইআর অ্যাগ্রো ইনোভেশনস অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম আলী সুমন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ