ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বাড্ডায় সাথী (১৮) ও বংশালে তন্নী (১৫) দুই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় ও দুপুর ২টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বংশালে মৃত্যু হওয়া তন্নীর বড় ভাই মো. তামজিদ হোসেন জানান, তারা বংশাল নাজিরাবাজার ৫৩ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। তন্নীর বাবার নাম আবুল হোসেন। স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করে তন্নী। সন্ধ্যায় রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় তন্নী। পরে দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে পারেনি স্বজনরা। বিস্তারিত বলতেও রাজি হয়নি কেউ।
এদিকে বাড্ডায় মৃত্যু হওয়া সাথীর মা বিউটি বাড়ই জানান, তারা বাড্ডা আলী মোর এলাকাতে একটি বাসায় ভাড়া থাকে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ কোটালি পাড়া উপজেলার পশ্চিম দেবগ্রামে। সাথীর বাবার নাম রণজিৎ বাড়ই। গাজীপুরে একটি কলেজে পড়তো সে। মোবাইলে কোনো ছেলের সঙ্গে সে কথা বলতো। দুপুরে বাসায় সাথী ছাড়া কেউ ছিলো। তখন প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সাথীকে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের (পরিদশর্ক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুরে সাথীকে ও রাতে তন্নীকে তাদের পরিবার হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এজেডএস/এএটি