ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরেও থেমে নেই কর্মজীবীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরেও থেমে নেই কর্মজীবীরা ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ভোরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষজন। সকাল হলেও মিলছে না সূর্যে দেখা।

তবুও থেমে নেই জন-জীবনের গতি।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে কর্মজীবীদের নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে চলার এমন দৃশ্য দেখা যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়াডিঙ্গি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।  

কনকনে ঠাণ্ডা আর উত্তরের শীতল বাতাসের মধ্যেও পোশাক কারখানার শ্রমিক, ভ্যানচালক, হোটেল বয় এবং রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার করার পরিছন্নকর্মীরা তাদের নিজ নিজ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ভোরে বের হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে রাস্তার নির্দেশিকা আন্ডার লাইন দেখা না গেলেও হেড-লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।

সাভারের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশার কারণে সকালে রাস্তায় হাটতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তাও ভালো করে দেখা যায় না। সড়ক পথে হাটা তাই ঝুঁকি হয়ে যায়। তবুও ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে যেতে হয় শুধু মাত্র জীবিকার তাগিদে।  

ভ্যানচালক সানোয়ার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হই কারণ ওই সময় অনেকে অফিস করার জন্য বের হন। এবং ৩-৪ ট্রিপ দিলেই ২০০/২৫০ টাকা আয় করা যায়। এ জন্য একটু ঝুঁকি নিয়ে কুয়াশার মধ্যে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। তাছাড়া আমরা গরিব মানুষ, কাম না করলে খামু-কি?।

স্বপ্ন পরিবহনের চালক আনিছ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যায় না, কারণ একে-তো রাস্তা দেখা যায় না, তার ওপর কুয়াশায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে। যে কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে হেড-লাইট জ্বালিয়ে কম গতিতে চালাই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।