ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দেশের সব অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে হলেও মহান বিজয় দিবসের উৎসবে মেতেছিল বাঙালি জাতি। তবে করোনা ভীতি বিজয়ের উৎসবে বাধা হতে পারেনি।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিল, বিজয় সরণি, বিমান জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, দক্ষিণ নগর ভবন, সেগুনবাগিচাসহ পুরো রাজধানী জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয়ের উৎসব শুরু হলেও চলে রাত পর্যন্ত। করোনার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে উৎসবের পরিসর সীমিত এবং কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়। তবে উৎসবে নগরবাসীর কাছে বাধা হতে পারেনি করোনা। বিজয়ের উৎসব ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে রাজধানীজুড়েই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিজয়ের উৎসবে সন্তানদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতেই ছুটির দিন পরিবার নিয়ে নগর ভবনে আলোকসজ্জা দেখতে এসেছিল পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আশিক আহমেদ।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৪৯তম মহান বিজয় দিবসে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। আগামী প্রজন্ম কাছে সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরছি। নতুন প্রজন্মর কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদেরই তুলে ধরতে হবে। যাতে করে তারা জানে আমরা বীরের জাতি।
বাবা মুক্তিযোদ্ধা এদিনটি আসলে আমরা আনন্দের জোয়ারে ভাসি বলে জানালেন হাতিরঝিলে সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসা ফাহমিদা আফরোজ। তিনি বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাবার কাছে রণাঙ্গনের ইতিহাস শুনেছি। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। প্রতি বছরই এদিনটি আমাদের কাছে আবেগের, আনন্দের। তাই করোনার মধ্যেও আমার সন্তানকে নিয়ে ঘুড়তে বের হয়েছি। বিজয়ের এ উল্লাস সারা জীবন এভাবেই পালিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এ বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। কোনো অপশক্তি যেন মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে রাষ্ট্রের কাছে বিজয় দিবসে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এসএমএকে/আরআইএস