ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে না, এটা চলতে দেওয়া যায় না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে না, এটা চলতে দেওয়া যায় না

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মাদরাসা বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে না, এটা কোনোও ভাবে চলতে দেওয়া যায় না। স্বাধীনতাবিরোধীদের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তরুণ সমাজকে সংবিধানে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেসব অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো দূর করতে হবে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় বিজয়: নতুন প্রজন্মের নিকট আমাদের প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে পাঁচটি দেশের ছাত্র ও যুব নেতারা এতে অংশ নেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ভারতের চক্রান্ত ও ইসলামবিরোধী বলেছিল, যারা ১৯৭১ সালে ইসলামের দোহাই দিয়ে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছিল তারাই আজকে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এরা যুগে যুগে ধর্মের আধ্যাত্মিকতা বা প্রধান বিষয় বাদ দিয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও ব্যবসা করছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের আক্রোশের প্রধান কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু তাদের সাধের পাকিস্তান ভেঙে ছিলেন। দেশের প্রকৃত মুসলমান বা প্রকৃত আলেমরা এদের সমর্থন করেন না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তরুণ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছে সেসব অর্ধশিক্ষিত তথাকথিত আলেমদের কাছে আমরা ইসলামকে ইজারা দেইনি। কোরাআন-হাদিসের কোথাও ইসলামের এ ধরনের ঠিকাদারির ব্যবস্থা নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। সামরিক শাসন, স্বৈরাচার কিংবা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করলে আওয়ামী লীগ অনেক আগেই ক্ষমতায় যেতে পারতো। আওয়ামী লীগ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কিংবা বঙ্গবন্ধু আদর্শের সঙ্গে কখনও বেইমানি করবে না।

সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চিহ্নিত মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং তাদের রাজনৈতিক, সামরিক ও আদর্শিক উত্তরাধিকারীরা যখন আমাদের জাতির পিতার দর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর বার বার আঘাত করছে তখন এ অপশক্তিকে পরাজিত ও নির্মূল করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। ৫০তম বিজয় দিবসে তাদের এ শপথই গ্রহণ করতে হবে।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও নির্মূল কমিটির তুরস্ক শাখা ‘টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিজমের’ সাধারণ সম্পাদক শাকিল রেজা ইফতি।

আলোচনায় আরও অংশ নেন- সাংবাদিক মানস ঘোষ, সমাজকর্মী ইলোরা দে, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, লেখক সাব্বির খান, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।