মৌলভীবাজার: অস্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রর সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক আচরণের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সায়েক আহমেদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিটিআরআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহমেদ এ ব্যাপারে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি তা-ই উল্লেখ করেছি। প্রতিবেদনে আমরা বাদী-বিবাদীদের মতামত তুলে ধরে তা জমা দিয়েছি। এখন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিটিআরআই পরিচালক এবং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে সায়েক আহমেদকে বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তিনি জবাব দেবেন। তারপর নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদকে বাঁচাতে একটি মহল গোপন তৎপরতা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই মহল প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
এদিকে বিদ্যালয়ের শতকরা ৯০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই চারিত্রিক দূষণের কারণে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না এই সায়েক আহমেদকে। তারা নাম-পদবী গোপন রেখে নীতিগতভাবে তার বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সত্য প্রচারণার মাধ্যমে তার সত্যিকারের মুখোশ উন্মোচন করতে চাইছেন।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রকে বাসায় ডেকে তার সঙ্গে সায়েক আহমেদকে সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠে। অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ শীর্ষক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ১৩ ডিসেম্বর জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আরো সাত কার্যদিবস বর্ধিত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
বিবিবি/এএটি