গোপালগঞ্জ: সারা দেশ যখন বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত-আত্মহারা, সে সময়েও গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় পাক হানাদাররা যুদ্ধ করে যাচ্ছিল। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ শত্রু মুক্ত হয় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া।
১৯ ডিসেম্বর খুব ভোরে নড়াইল জেলার দিক থেকে ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর মঞ্জুর, নড়াইল জোনের মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন হুদা, লে. কর্নেল জোয়ান, কামাল সিদ্দিকী, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের দিক থেকে ক্যাপ্টেন ইসমত কাদির গামা ও বাবুলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডারগণ সম্মিলিতভাবে ভাটিয়াপাড়ার মিনি ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালায়।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার এনায়েত হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক এ হামলা ও বীরোচিত সাহসী যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডারের কাছে ৬৫ জন পাক সেনা ও শতাধিক রাজাকার আত্মসর্মপণ করে।
তিনি আরো জানান, দেশ স্বাধীনের তিন দিন পর হানাদার মুক্ত হয় কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়াসহ সমগ্র গোপালগঞ্জ অঞ্চল।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, করোনার কারণে ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবসের কর্মসূচি কমিয়ে আনা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় ভাটিয়াপাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া বেলা ১১টায় কাশিয়ানী ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
আরএ