ফেনী: গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার শিরিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর জাফর ইমাম বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আমিন উল্লাহ।
একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম কাসেদুল হক বাবর, রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, মাস্টার আবু নাসের, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিহত গৃহবধূ শিরিনের সহপাঠী শাহানা আক্তার, আব্দুল্লাহ আল কাউসার সাগর, ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন ও নিহতের বোন সুলতানা প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, গৃহবধূ শিরিনকে পরিকল্পিতভাবে স্বামী পরিবারের লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হয়।
নিহতের স্বজনেরা মরদেহের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখে এটিকে হত্যা বলে পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরে তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় নিহত শিরিনের বাবা অহিদুর রহমান বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ একজনকে গ্রেফতার দেখালেও ঘটনার মূলহোতা মামলার এক নম্বর আসামি শাহীনসহ ৪ জন আসামিকে এক সপ্তাহ পরও গ্রেফতার করা হয়নি। তাই অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। আর কোনো নারীকে যেন শিরিনের মতো অকালে প্রাণ দিতে না হয় সেজন্য বক্তারা সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মধ্যম রামপুর মানিক কমিশনার বাড়ি সংলগ্ন তনু পাটোয়ারী বাড়ি থেকে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাহমুদা দাগনভূঞার রাজাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুরের ছলু ভূঁঞা বাড়ির অহিদুর রহমান ও আলেয়া বেগমের মেঝ মেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এসএইচডি/এএটি