চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৯), মো. আব্দুল করিম (৬০), মো. ফজলুর রহমান (৪৪), মো. শামসুল আলম মজুমদার (৫০) ও শিরিনা আক্তার (৩০)।
এই চক্রটি চাকরি প্রত্যাশীদের কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার বানানোর কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদরুজ্জামান জিল্লু বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বেশ কয়জন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাতে রাজধানীর পশ্চিম কমলাপুরের কবি নজরুল ইসলাম রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতার পাঁচজনই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা প্রতারণার প্রথম ধাপ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া নিতেন। এরপর বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে চাকরির বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকে চাকরির জন্য ওই ঠিকানা অনুযায়ী আবেদন করলে তারা সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকে কথা বলতেন। সাক্ষাৎকার শেষে বিভিন্ন পদে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দিতেন। তবে তাদের শর্ত থাকতো নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (মোটা অংকের) দিয়ে কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হওয়া।
তিনি জানান, চক্রের সদস্যরা আবেদনকারীদের বোঝাতেন ওই টাকা কোম্পানিতে বিনিয়োগ হিসেবে থাকবে। এতে তারা লভ্যাংশ পাবেন। এই প্রলোভন দেখিয়ে তারা কোম্পানির নিয়োগপত্র দিতেন। এর কিছুদিন পর চাকরিতে যোগদান করতে গেলে ওই অফিস তালাবন্ধ দেখে ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারিত হয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার আসামিরা এভাবে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এসজেএ/এমএইচএম