খুলনা: খুলনার চালনা পৌরসভা হলেও সাধারণ ভোটাররা গ্রামের মানুষের মতো প্রযুক্তি বোঝেন না। ব্যালট পেপারে ভোট দিতে অভ্যস্ত এখানকার মানুষ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চালনা পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহারের বিষয়ে এসব কথা বলেন তরুণ ভোটার মো. মামুন।
তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে এক শ্রেণির ভোটারদের মনে ভীতি আছে।
জানা যায়, ২৮ ডিসেম্বর এ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৮৬৩ জন ও নারী ভোটার ৬ হাজার ২৩৭ জন।
আসন্ন এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সনত কুমার বিশ্বাস, বিএনপির মো. আবুল খয়ের খাঁন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল।
ভোটের ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীরা করছেন গণসংযোগ। যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আসছে নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী। নতুনরা ডাক দিচ্ছেন পরিবর্তনের। আর পুরোনরা চাচ্ছেন বাকি থাকা কাজগুলো শেষ করতে ফের সমর্থন। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে সব জায়গায়। চলছে মাইকিং। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো পৌরসভা জুড়ে।
সাধারণ ভোটারদের ধারনা নির্বাচনে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০০৪ সালের ১৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চালনা পৌরসভা। দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা গঠনের ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদায়। সুপেয় পানির সমস্যা প্রকট। রয়েছে নদী ভাঙ্গনের হুমকি। এর আগে তিন দফা নির্বাচন হলেও এলাকার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি খুব একটা।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে সম্ভাব্য সকল প্রার্থী তাদের কাছে আসছেন। চাচ্ছেন সমর্থন। তবে যোগ্যতা এবং দক্ষতা এবং সততার ওপরই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেবেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ২৬ তারিখে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার বিষয়টি ভোটারদের হাতে কলমে শেখানো হবে। এছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩ , ২০২০
এমআরএম/জেআইএম