মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ অন্য উপজেলার ৬৭টি গির্জায় চলছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের প্রস্ততি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সীমিত পরিসরে উৎসবটি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন গির্জার মণ্ডলী প্রধানরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে দেখা গেছে, বড়দিনকে সামনে রেখে গির্জাগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আলপনা একে নতুন করে রং করা, ধোয়ামোছার কাজের পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটাতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাসিয়াপুঞ্জির প্রবেশমুখে নৃ-গোষ্ঠীর মেয়েরা আলপনা একে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করে চলেছে।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় বড়দিনসহ ওয়াজ মাহফিল, কীর্তন, মেলা, উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা প্রধান করেছেন মৌলভীবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
লাউয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জি প্রেসবিটারিয়ান চার্চের সভাপতি শাকিল পামথেট বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা জাঁকজমকভাবে বড়দিন উৎসব পালন করলেও এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা সীমিত করেছি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গির্জায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। ’
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান সিনডের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমী বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৭টি গির্জা রয়েছে। সব গির্জায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই উৎসব পালন করে। সাধারণত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে প্রতিটি গির্জা মণ্ডলীর আয়োজনে ঘরে ঘরে কীর্তন-প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তবে এবার এ সময় আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
বিবিবি/আরবি