ঢাকা: ‘পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতি হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার অন্যতম চাবিকাঠি’ বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ ও পারমাণবিক শক্তি প্রকৌশল ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমইপি এইচআই) অবিনস্ক ইন্সটিটিউটের নিউক্লিয়ার ফিজিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দিমিত্রি সামোখিন।
রাশিয়ান ওই বিশেষজ্ঞের মতে পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির ফলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আজ ও আগামীর অন্যতম নির্ভরযোগ্য জ্বালানি হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটম আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের অধ্যাপক ড. দিমিত্রি সামোখিন বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ অন্যতম নিরাপদ একটি জ্বালানি উৎস। এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্যে তিনি তিনটি মৌলিক বিষয়কে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এগুলো হলো- তেজস্ক্রিয় পদার্থের হোল্ডিং, রিয়াক্টর কোর কুলিং, সবচাইতে জটিল অংশে তেজস্ক্রিয়তার নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষণ।
ড. দিমিত্রি সামোখিন তার উপস্থাপনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্যে প্রতিরোধমূলক ও জরুরি কৌশলগুলো তুলে ধরেন। জরুরি মুহূর্তে তেজস্ক্রিয়তা ও পদার্থকে পরিবেশের মধ্যে ছড়ানো থেকে প্রতিহত করতে আধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত সফলভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর রিয়াক্টর সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে এর মধ্যে অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে যাতে এটি আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যেকোনো দুর্ঘটনা যেমন, ভুমিকম্প, হ্যারিকেন, টর্নেডো এবং বিমান দুর্ঘটনার মতো ঘটনায় সর্বোচ্চ সহনশীল। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো কোর ক্যাচার। এতে দুর্ঘটনার সময়ে কোর মেল্টিং ও রিয়াক্টর ভেসেলকে পেনিট্রেশন করে মল্টেন রিয়াক্টর ম্যাটেরিয়ালকে লোকালাইজ করবে। স্টিম জেনারেটরকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এটি টোটাল ব্লাক আউটের সময়ে বা সম্পূর্ণ ফিড ওয়াটার শেষ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা প্রাইমারি সার্কিটে কুল্যান্ট লিকেজ হলে কোর মেল্টিংকে প্রতিরোধ করবে।
বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়নে রাশিয়ার ভূমিকার কথাও এই বিশেষজ্ঞ তুলে ধরেন । তিনি নতুন প্রজন্মের ভিভিইআর থ্রি প্লাস রিয়াক্টিরের নিরাপত্তা ও নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। ড. দিমিত্রি মনে করেন পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির ফলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আজ ও আগামীর অন্যতম নির্ভরযোগ্য জ্বালানির উৎস হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এসকে/এমআরএ