লালমনিরহাট: তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের খাস জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হওয়ার প্রতিবাদে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভূমিহীন পরিবারগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম বটতলা এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভূমিহীনরা জানান, তিস্তা নদীর হিংস্র স্রোতে বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েন চরাঞ্চলের ছিন্নমুল মানুষরা। তিস্তা বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের খাস জমিতে চাষাবাদ করে চলে এসব ভূমিহীন পরিবারের সংসার। সম্প্রতি সময় সরকারের মাঠ জরিপে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শালহাটি নোহালি মৌজার মৃত সিদ্দিক আলীর ছেলে আমিন উদ্দিনের একক নামে ২১ নম্বর খতিয়ানের ৩৯.৭০ একর সরকারি খাস জমি বি.আর.এসে রেকর্ডভুক্ত হয়। চরাঞ্চলের খাস জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়ায় জবর দখলের চেষ্টা করছেন আমিন উদ্দিন। ফলে জীবিকার একমাত্র মাধ্যম চাষাবাদের অধিকার বঞ্চিত হয়ে পড়ে চরাঞ্চলের ভূমিহীন শত শত ছিন্নমূল পরিবার।
সরকারি খাস জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড সংশোধন করে খাস জমি ভূমিহীনদের মধ্যে চাষাবাদের জন্য বরাদ্দ দিতে সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সুফল পাননি চরবাসী। খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন এসব চরাঞ্চলের ভূমিহীন পরিবারগুলো।
>>>তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চর দখলে তৎপর প্রভাবশালীরা
লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে শত শত নারী পুরুষের মানববন্ধনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু সাজ্জাদ হোসেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত খাস জমি উদ্ধারের আশ্বাস দিলে মহাসড়ক ছেড়ে দেন ছিন্নমুল মানুষগুলো।
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মানববন্ধনের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কি কারণে এবং কিভাবে সরকারি জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ভূমিহীনরা চলে যান। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এনটি