ঢাকা: সরকারি মালিকানাধীন চিনিকলগুলো বন্ধ না করে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করে দুর্নীতি মুক্ত পরিকল্পিত বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছে সুগারমিলস চিলড্রেন্স ফোরাম। সংগঠনটি জানায়, আধুনিকায়ন ও দুর্নীতিমুক্ত করা গেলে চিনিকলগুলো লাভজনক ভাবে চালানো সম্ভব হবে।
শনিবার (০২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬টি চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষীদের ছেলেমেয়েদের সংগঠন সুগারমিলস চিলড্রেন্স ফোরামের মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চিনিকলগুলোর লোকসানের জন্য দায়ী গুটিকয়েক জনের দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা। এর দায় হাজার হাজার সাধারণ শ্রমিক আর আখচাষীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত দুর্নীতি নির্মূল ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মিলগুলোতে হাজার হাজার টন অর্গানিক চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে থাকা। বিপনন ব্যবস্থার চরম অদক্ষতাই এজন্য দায়ী।
তারা বলেন, চলতি মৌসুমে আখমাড়াই বন্ধ করে ৬টি মিলের হাজার হাজার আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কৌশলে আখচাষীদের ভবিষ্যতে আখ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, পৃথিবীতে যখন অর্গানিক চিনির কদর বাড়ছে তখন আমাদের দেশে অর্গানিক চিনি উৎপাদনকারী সরকারি চিনিকল বন্ধের অপচেষ্টা চলছে। সরকারি মিলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে দেশের জণগণকে আমদানি করা তরল চিনি থেকে প্রস্তুত রাসায়নিক চিনি খেতে হবে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে সরকারি চিনিকল ছাড়া বেসরকারি খাতে কোন চিনিকল নেই। বেসরকারি খাতে কয়েকটি রিফাইনারি আছে যারা বিদেশ থেকে তরল চিনি এনে এখানে রিফাইন করে। সরকারি চিনিকল বন্ধ হলে দেশ আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে এবং চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। শুরু থেকেই চিনিকলগুলো কর ও ভ্যাট দিয়ে আসছে যার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে এই চিনিকলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করার জন্য দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত বিনিয়োগের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ