ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ধ্যা হলেই খুলনার অলিগলিতে পিঠার ঘ্রাণ

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২১
সন্ধ্যা হলেই খুলনার অলিগলিতে পিঠার ঘ্রাণ পিঠা তৈরি করছেন দোকানি

খুলনা: কাঁপন তোলা পৌষের কনকনে শীত নেই। শীতের তীব্রতা কম থাকায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল রয়েছে।

তবে সন্ধ্যার পর অলিগলির মোড়ে শীতের পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যাচ্ছে।

পিঠা ছাড়া ভোজন রসিক বাঙালির শীতের মৌসুম পরিপূর্ণ হয় না। শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি গ্রাম-বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি মনে করা হলেও সেই রীতিতে পিছিয়ে নেই শহরের মানুষ।  

মহানগর খুলনার মোড় আর অলিগলিতে সন্ধ্যার পর পিঠার ঘ্রাণ ভেসে আসে। শহরের রাস্তায়, অলিগলি ও ফুটপাতে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি নগরবাসী। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে অনেককেই পিঠার দোকানগুলো থেকে পিঠা কিনে নিয়ে যান।

নগরের অধিকাংশ স্থানে বসেছে অস্থায়ী পিঠার দোকান। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে ভালো লাভ হওয়ায় অনেকে এ সময় পিঠার ব্যবসা করেন। বিশেষ করে তারের পুকুরপাড়, নিউ মার্কেট, পাইওনিয়র কলেজের সামনে, রেলস্টেশন এলাকায়, নিরালা, দৌলতপুর, খালিশপুর, গল্লামারী, সলেমান নগরের প্রবেশ দ্বার। প্রায় শতাধিক স্থানে বসে পিঠা তৈরির অস্থায়ী দোকান।

প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে দোকানগুলোয়। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতা সমাগম, যা রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সলেমান নগরের পিঠা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, শীতের চার মাস পিঠা বিক্রি করি। বিক্রি বেশ ভালোই হয়। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ পিস পিঠা বিক্রি হয়। ভাপা পিঠা প্রতিপিস ১০ টাকা, পুলি ১০ ও পাঁচ টাকায় বিক্রি করি। আমি বিভিন্ন পিঠা উৎসবে গিয়ে পিঠা তৈরি করে দি।

তারের পুকুর পাড়ে পিঠা বিক্রেতা নুরুল আলম নুরু বাংলানিউজকে বলেন, শীতের সময় মানুষ পিঠা খেতে চায়। যে কারণে প্রতিদিন ভালো আয় হচ্ছে। তবে আগে রাস্তার পাশে স্থায়ীভাবে চুলা রেখে পিঠা বিক্রি করতে পারতাম। এখন ভ্যানের উপর চুলা রেখে পিঠা বানাতে হয়।

মহানগরের পাইওনিয়র কলেজের সামনে পিঠা বিক্রেতা সুমন জানান, তিনি সিদ্ধ পুলি, ভাপা পুলি, চিকেন পুলি, ভাপা, পাটিসাপটা বিক্রি করেন। পিঠা বিক্রি খুব ভালো। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চিতই পিঠা।

দোকানে পিঠা কিনতে আসা অনেকেই বলেন, বাসাবাড়ির পিঠা সাধারণত একসঙ্গে এক ধরনের তৈরি করা হয়। কিন্তু দোকানে একসঙ্গে অনেক রকমের পিঠা পাওয়া যায়। এছাড়া এসব পিঠার স্বাদও অনেক।  

খুলনার খাসা-অর্গানিক পণ্যের মালিক হেলাল হোসেন বলেন, শহরে থাকার কারণে শীতে গ্রামে মায়ের হাতের পিঠাপুলি খুব মিস করি। কিন্তু শহরের মোড়ের পিটাপুলির দোকানগুলো সেই আফসোস কিছুটা মিটিয়ে দিচ্ছে।
পিটিআই মোড়ের রফিক নামে এক পিঠা ক্রেতা বলেন, সন্ধ্যা নামার পর শীতের মধ্যে গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতের মৌসুমি পিঠা খেতে ইচ্ছে হলে দোকানে চলে আসি। মাঝে মধ্যে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।