ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা মহাকাব্যিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
করোনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা মহাকাব্যিক

ঢাকা: করোনা সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টাকে মহাকাব্যিক হিসেবে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইজিপি বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসকসহ সবার এক মহাকাব্যিক প্রচেষ্টা ছিল। এ মহাকাব্যিক প্রচেষ্টায় সবাই যে দুর্দমনীয় সাহস দেখিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন, পেশাগত মমত্ববোধ দেখিয়েছেন তা এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, যা সত্যিই বিরল।

করোনার অতিমারিকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি সমগ্র দেশ দিয়েছে, দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, স‌ারা বি‌শ্বের ম‌তো আমা‌দের জন্যও ক‌রোনা ছিল এক‌টি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। ক‌রোনার জন্য আমা‌দের কো‌নো পূর্বপ্রস্তু‌তি ছিল না, কিন্তু আমা‌দের বুক ভরা সাহস ছিল। আমরা হতবিহ্বল না হয়ে দুর্দমনীয় প্রত্যয় নিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছি।

শুরু‌তেই করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী করে করোনা মোকাবিলায় গাইডলাইন তৈরি করেছি। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগসহ একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়েছে।

‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, তাদের মধ্যে কনফিডেন্স তৈরি করা‌। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। ’

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শুধু পুলিশ সদস্যই নয়, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকেও চিকিৎসা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আমরা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতালে রূপান্তর করতে চাই। ভবিষ্যতে এ হাসপাতালে ক্যাথল্যাব স্থাপন এবং ক্যানসার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে।  

পুলিশ প্রধান বলেন, ঢাকায় একটি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্থাপিত পুলিশ হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা হবে।  

উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, আপনারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। আগামীতে আরও বেশি ভালো করতে হবে। আমরা সবাই মিলে হাতে হাত ধরে একযোগে দেশের জন্য, জনগণের জন্য  কাজ করবো।  

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।