ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেজালবিরোধী অভিযান: চকবাজারে ১৫ লাখ টাকার চকলেট জব্দ, আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
ভেজালবিরোধী অভিযান: চকবাজারে ১৫ লাখ টাকার চকলেট জব্দ, আটক ৫

ঢাকা: রাজধানীর চকবাজার থানার কামালবাগ এলাকায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে চার কারখানা থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার চকলেট জব্দ করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল মিশিয়ে চকলেট ও শিশু খাদ্যে তৈরির দায়ে মালিকসহ পাঁচজনকে আটক করেছেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪ টায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও র‍্যাব-৩ এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আটক পাঁচজন হলেন- সুবেল লজেন্স ফ্যাক্টরির মালিক সোহেল ব্যাপারী, প্রধান কারিগর জাহের দফাদার, আবির ফুড প্রোডাক্টের প্রধান কারিগর আব্দুস সালাম, কবির ফুড প্রোডাক্টসের প্রধান কারিগর ইয়াসিন, শহিদ ফুড প্রোডাক্টসের মালিক মোহাম্মদ তারেক।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজারে কামালবাগ এলাকায় চার চকলেট কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় প্রায় ১৫ লাখ টাকার চকলেট জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো চকলেট তৈরিতে কালার, হাইড্রোজ, গলিত মম, পেরাছিন, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেবার, গ্লুকোজ, গ্রিন রং, চকবার ফ্লেবার, কমলা কালার রং ব্যবহার করতো। যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এ ধরনের উপাদানের তৈরি খাদ্য শিশুদের পেটে গেলে কিডনি লিভার ড্যামেজ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এসব কারখানায় বিদেশি বিভিন্ন চকলেটের আদলে নকল চকলেট তৈরি করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠান চারটিতে বিএসটিআই-এর অনুমোদন নেই, লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের ২৫ এর ‘সি’ ধারায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক মালিকদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
এমএমআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।