ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২১
মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ

যশোর: যশোরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পরে নিজের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মতিউল্লাহ নাঈম নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রহণকালে পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর বিমানবন্দর এলাকার নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নাঈম খুলনার রূপসা উপজেলার জয়পুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।  

এদিকে নাঈমের মা ফাতেমা বেগম ছেলের মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, নাঈম পেশায় থাই গ্লাসের কাজ করতেন। গত চার মাস আগে খুলনার একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে তাকে বিয়ে করেন নাঈম। তার স্ত্রী খুলনাতেই থাকেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) তার স্ত্রী আত্মীয় বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নাঈমের কাছে অনুমতি চান। কিন্তু নাঈম তাকে সেই অনুষ্ঠানে যেতে দিতে রাজি হননি। এনিয়ে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তার স্ত্রীর মোবাইলে কথা না বলে কলটি কেটে দেন। এরপর নাঈম স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ লিখে তার মেসেঞ্জারে একটি বার্তা পাঠান। স্ত্রীও ঠিক একই রকম গালিগালাজ লিখে মেসেঞ্জারে নাঈমের কাছে বার্তা পাঠান। তবে মেসেঞ্জারে লেখা গালির মধ্যে নাঈমকে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে বলেছেন পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সেকারণে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নাঈম যশোর বিমানবন্দর এলাকার একটি মেসে হাতুড়ি দিয়ে নিজের মাথায় আঘাত করেন। ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ওই মেসের মধ্যেই অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে নাঈমের রুমমেট সিরাজুল ইসলাম রুমে গিয়ে দেখেন নাঈম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে সিরাজুল নাঈমকে উদ্ধার করে যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর রাতেই তার মরদেহ নেওয়া হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে।  

সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনাম হোসেন জানান, রাতেই পুলিশ নাঈমের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।  নাঈমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে  বিকেলে নাঈমের মা ফাতেমা মরদেহ নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওয়ানা করেছেন।

নাঈমের মা ফাতেমা আরও বলেন, তার ছেলের মৃত্যু রহস্যজনক। ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২১
ইউজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।