ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাঁকড়া আহরণে নয়, গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন রতন-মিজান  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
কাঁকড়া আহরণে নয়, গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন রতন-মিজান  

সাতক্ষীরা: কাঁকড়া আহরণের জন্য নয়, ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনতে গিয়েই বাঘের আক্রমণে নিহত হন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনো মিস্ত্রির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘের মুখ থেকে জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসা এই দলের আরেক সদস্য ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১) স্থানীয় উৎসুক জনতা ও সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।

মুসার দেওয়া তথ্য মতে, রতন, মিজানুর রহমান ও আবু মুসা স্থানীয় চিহ্নিত গরু পাচারকারী মামুন ও আইজুলের গরু আনতে সুন্দরবনের মধ্যদিয়ে নদী পথে ভারতে যাচ্ছিলেন। গরু আনতে যাওয়ার জন্য তার দুলাভাই মিজানুর রহমান তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই প্রথমবার তার গরু আনতে যাওয়া। এজন্য অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকাও নিয়েছিলেন তিনি। বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নৌকায় ওঠার পর সারারাত নৌকা চলে। বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফুটলে তারা ভারতের কাছাকাছি সুন্দরবনের মধ্যে একটি খালে নৌকা ভিড়িয়ে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে নৌকায় গরু আনতে সুবিধার জন্য কাঠ কাটতে বনে ঢুকলে একটি বাঘ দুলাভাই মিজানুর রহমানকে প্রথমে আক্রমণ করে। এসময় রতন চিৎকার করলে বাঘ রতনকেও আক্রমণ করে। তখন খালে ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকার নিচে আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে রক্ষা পান তিনি।

>>>সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই জেলে নিহত

আবু মুসা আরও জানান, দীর্ঘসময় একা নৌকা নিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার পথে এক ভারতীয় জেলে দম্পতির সঙ্গে তার দেখা হয়। এসময় তাকে সবকিছু খুলে বললে তারা মুসাকে আশ্রয় দেন। ওই জেলে দম্পতির বাড়িতে একদিন থাকার পর সীমান্ত এলাকার অন্য একজনকে টাকা দিয়ে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন তিনি। পরে কৈখালীর লতিফ, আরিজুল, আরশ খানসহ চার-পাঁচজন নৌকায় করে তাকে এলাকায় নিয়ে আসেন।

রতনের বড় বোন জানান, সোমবার মামুন ও সোহরাব তাদের বাড়ি যান। এসময় তিনি তাদের বড় কথা বললে তারা রতনের কাছে নালিশ করেন। রতন এজন্য বাড়ি এসে তাকে মারেও। পরে বুধবার তারা রতনকে নিয়ে যায়। এরপর তারা শুনতে পান রতনকে বাঘে নিয়ে গেছে।

রতনের স্ত্রী বলেন, মামুন আরিজুলসহ কয়েকজন বুধবার রতনকে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে মেরে ফেলেছে নাকি বাঘে ধরেছে জানি না। আমরা তার মরদেহ অথবা তাকে জীবিত চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।