ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
কুষ্টিয়ায় বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশ বিড়ি সমাবেশ।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ছয় দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ সমাবেশ করেন তারা।

 

সমাবেশ থেকে বিড়ির ওপর অতিরিক্ত চার টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রীম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সিগারেটের মতো বিড়িতেও ৩টি মূল্যস্তরকরণ, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।  

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আনারুল হক।  

সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মো. হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অসহায় বিড়ি শ্রমিকরা দুবেলা পেট ভরে খেতে পারে না। কাজ না পেয়ে মজুরির অভাবে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। সারা জীবন কাজ করেও বিড়ি শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।  

এসময় বিড়ি শ্রমিকদের নায্য পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, অনলাইনে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স দেওয়ায় নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়িতে বাজার সয়লাভ হয়ে গেছে। এভাবে অবাধে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স দিয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিনা ট্যাক্সে বিড়ি বিক্রির সুযোগ করে দিচ্ছে। জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

এছাড়াও বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আনারুল হক বলেন, বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমরা একমত। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহিতকরণের মাধ্যমে বিড়ি শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের দাবি জানান তিনি।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত কর বৃদ্ধির কারণে বিড়ির বাজার নকলবাজদের দখলে চলে গেছে। যেখানে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় ১০ টাকা সেখানে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাত/ আট টাকায়। এতে একদিকে বৈধ বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়ালে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।