ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতিতে এবার ১২ নম্বরে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
দুর্নীতিতে এবার ১২ নম্বরে বাংলাদেশ

ঢাকা: বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সর্বনিম্ন দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৯ সালের তুলনায় দুর্নীতিতে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের।

আগের বছর অবস্থান ছিল ১৪তম।  

দুর্নীতির ধারণা সূচকে (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স-সিপিআই ২০২০) বাংলাদেশের স্কোর ২৬। যা গত বছরও একই ছিল। দুর্নীতির তালিকায় সর্বোচ্চ থেকে গণনা করলে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম।  

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে থাকে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের সূচক প্রকাশ করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১০০ এর মধ্যে ২৬ স্কোর করেছে। যা ২০১৯ ও ২০১৮ সালের স্কোরের সমান। নিচের দিক থেকে ১২তম অবস্থান পেয়েছে। যা ২০১৯ সালের তুলনায় দুই ধাপ নিচে। অর্থাৎ দুর্নীতি দমনে দুই ধাপ খারাপ করেছে বাংলাদেশ। ওপরের দিক থেকে গণনা করলে ১৪৬তম। যেটাও গতবারের মত রয়েছে।

 
২০০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্রমাগত অগ্রগতি হয়েছে। সেটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু স্কোরটা ২০ এর কোটায় স্থগিত হয়ে গেছে। যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক বলে আমরা মনে করছি, যোগ করেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ফলাফল আমরা হতাশাব্যঞ্জক বলে মনে করছি। কারণ স্কোরে কোনো উন্নতি হয়নি। শীর্ষ র‌্যাংকিংয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং নিচের দিক থেকে দুই ধাপ নেমে এসেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে এ বছরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রয়েছে একমাত্র আফগানিস্তানের পর। দেশটির স্কোর ১৯। ওপরের দিক থেকে হিসাব করলে ১৬৫তম অবস্থানে। গতবারের তুলনায় এবার তারা ৩ পয়েন্ট বেশি স্কোর করেছে।

এশিয়া প্যাসিফিকের দিকে তাকালে বাংলাদেশের অবস্থার নিচের দিক থেকে চতুর্থ জানিয়ে তিনি বলেন, যা এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১টি দেশের মধ্যে কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান এবং উত্তর কোরিয়ার তুলনায় ভালো। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপ গতবারের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেশি পেয়ে ৪৩তম অবস্থানে উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে যেটা ২৯ ছিল। ১৩০ থেকে ৭৫তম নম্বরে চলে এসেছে।  

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটান ৬৮ স্কোর পেয়ে ২৪তম অবস্থানে আছে। গতবার ছিল ২৫তম অবস্থানে। ভারত ৪০ স্কোর পেয়ে ৮৬তম অবস্থানে রয়েছে। গতবার অবস্থান ছিল ৮০তম। শ্রীলঙ্কা ৩৮ স্কোর পেয়ে ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে। গতবার ছিল ৯৩তম। পাকিস্তান ৩১ স্কোর পেয়ে ১২৪তম অবস্থানে রয়েছে। গতবার ছিল ১২০তম অবস্থানে। নেপাল ৩৩ স্কোর পেয়ে ১১৭তম অবস্থানে রয়েছে। গতবার ছিল ১১৩তম অবস্থানে।

সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছে ডেনমার্ক এবং নিউজিল্যান্ড। দেশ দু’টি ১০০ এর মধ্যে ৮৮ পেয়েছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা।

সবচেয়ে কম স্কোর ১২ পেয়েছে সাউথ সুদান ও সোমালিয়া। ৬২টি দেশের স্কোর বেড়েছে। ৭০টি দেশের স্কোর আগের মতই রয়েছে। ৪৮টি দেশের স্কোর নেমেছে বলেও জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।