ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের বিভাগীয় সভা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের বিভাগীয় সভা মতবিনিময় সভায় অতিথিরা

খুলনা: জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের বিভাগীয় শুমারির স্থায়ী কমিটির অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিসংখ্যান জরুরি। স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, তরুণ ও যুবসমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথ্য দিয়ে এ শুমারিতে  অংশগ্রহণ করবেন বলেন তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভাগীয় কমিশনার  আসন্ন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের বিস্তারিত পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

সভায় জানানো হয়, দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর, ২০২১ পরিচালিত হতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আগামী ২৪ অক্টোবর রাত ১২টা শুমারি রাত ধরা হয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম জোনাল অপারেশন, শুমারি তথ্য সংগ্রহ, পিইস এবং আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক এ চারটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে।

অন্যান্য শুমারির তুলনায় এবারের শুমারিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এবারেই প্রথম ইন্টিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) চালু হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে শুমারি কাজে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, জোনাল অফিসার, উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীদের নামসহ বিস্তারিত পরিচিতি এক ক্লিকেই জানা সম্ভব হবে, যা শুমারি ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত কার্যকরী হবে। জিআইএস ম্যাপ ব্যবহার করে সারা দেশে প্রায় চার লাখ স্থায়ী গণনা এলাকাভিত্তিক ম্যাপ প্রস্তুত করা হবে। এটা শুমারিতে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শুমারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য এসডিজি সংক্রান্ত সূচক প্রণয়নে এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

সভায় আরও জানানো হয়, এ শুমারিতে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় দু’জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১৬ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ৩৮ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী ও ৩৭৮ জন জোনাল অফিসার কর্মরত থাকবেন। সমগ্র দেশে সর্বমোট নিয়োজিত জনবলের সংখ্যা তিন হাজার ৯৩৩ জন। গড়ে ১০০টি খানার জন্য একজন গণনাকারী এবং পাঁচ থেকে ছয়জন গণনাকারীর জন্য একজন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে। গণনা খানার রেঞ্জ হবে ৮০ থেকে ১২০টি অর্থাৎ একজন গণনাকারী ৮০টির কম এবং ১২০টির বেশি খানা গণনা করবেন না। সমগ্র দেশে প্রায় চার লাখ গণনা এলাকা তৈরি করা হবে।

সভায় খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, বিভাগীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।