ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বালুচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুই বছরেই বসবাসের অযোগ্য 

তৌহিদ ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
বালুচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুই বছরেই বসবাসের অযোগ্য  বালুর চরে আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুই বছরেই অযোগ্য বসবাসের। ছবি: বাংলানিউজ

নওগাঁ: নওগাঁয় গৃহহীনদের পুর্নবাসনের জন্য তৈরি করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দুই বছরের মাথায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে খুলে পড়ছে ঘরের টিন, দরজা, জানালা।

আশ্রয়ণে যাতায়াতের জন্য নেই পাকা রাস্তা।  

জেলার বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর লালুকাবাড়ি চরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী মাটির বদলে বালি দিয়ে চর উচু করে নির্মাণ করা হয় ঘরগুলো। নির্মাণের পর থেকেই আশ্রয়ণটিতে নেই স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা। ফলে ঘরগুলো ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। এর মধ্যে আবার অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

এখানকার বাসিন্দারা জানান, নানা সমস্যায় জরজরিত তারা। আশ্রয়ণে নেই বিদ্যুৎ সুবিধা, বাচ্চাদের জন্য নেই স্কুল, নেই মসজিদ। আবার ঘরগুলো নদীর চরে হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি প্রবেশ করে ঘরগুলো ভিতরে। বিশেষ করে বন্যার সময় পানিতে তাদের সব হারাতে হয় প্রতিবছর। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ৪৮টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ পরিবার ঘর ছেড়ে চলে গেছে অন্য জায়গায়।  

আশ্রয়েণের বাসিন্দা মেরিনা খানম বাংলানিউজকে বলেন, এখানে খুব কষ্ট করে থাকতে হয়। রাতে বেলায় বাইরে বের হওয়া যায় না। বিদ্যুৎ না থাকায় বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারেনা। এখানে বেশির ভাগ টয়লেটের অবস্থা বেহাল সেগুলোতে যাওয়া যায় না। খোলা জায়গায় টিউবয়েল হওয়ায় দিনের বেলায় মেয়েদের গোসলের খুব সমস্যা হয়।  

আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী সমিতির সভাপতি আবু বক্কর বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পটি তৈরি পর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে বেশিরভাগ ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে বহু বার স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এমনকি লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কনো লাভ হয়নি।  

আশ্রয়ের এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে দুই নম্বর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে আশ্রয়ণটির পরিবেশ খুব একটা ভালো নেই। এখানে বসবাস করা কঠিন। তবে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আশ্রয়ণটির কী কী সমস্যা রয়েছে সেগুলো খোঁজ নিয়ে সরকারি বরাদ্দ পেলে কাজ করব।  

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহির বাংলানিউজকে জানান, আমি আসার আগেই এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।