ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতে পাচার হওয়া ১২ নারী-শিশু ও কিশোরকে দেশে হস্তান্তর

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
ভারতে পাচার হওয়া ১২ নারী-শিশু ও কিশোরকে দেশে হস্তান্তর

বেনাপোল (যশোর): ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ১২ জন বাংলাদেশি নারী-শিশু ও কিশোরকে দেশে হস্তান্তর করেছে ভারত সরকার। এদের মধ্যে তিনজন নারী, সাতজন কিশোর, দুইজন শিশু রয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসারা হলেন, বাগেরহাট জেলার শাফিকুল ইসলাম, রুবাইয়া ফারজানা, সাইফুল হাওলাদার রাকিব, আরিফ সিকদার, সাদ্দাম শেখ, রাহিলা বেগম, আছমা খাতুন, আইশা খাতুন,খুলনা জেলার কাকুলি খাতুন, শাহিসশা কাজি, বরগুনা জেলার মৌসুমি বেগম ও ইসমাইল খান।

পাচারের শিকার নারী ও কিশোরা জানান, তাদের ভালো কাজের কথা বলে বাগেরহাটের শরণখোলা এলাকার হাবিব খান নামে এক দালাল ভারতের ব্যাঙ্গালুরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাদের দিয়ে পাথর ভাঙার কাজ দেয়। তাদের কাজের বিনিময়ে শুধুমাত্র থাকতে ও খেতে দিতো। তাছাড়া কোনো টাকা দিতো না। এভাবে ছয় মাস কাজ করার পর ব্যাঙ্গালুর পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তীকালে তালাশ নামে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিয়ে তাদের কাছে রাখে এবং শনিবার দেশে ফেরত পাঠায়।

তারা আরো জানান, ‘আমরা দালাল হাবিব খানের উপযুক্ত বিচার চায় ও আমাদের কাজের টাকা ফেরত চায়। ’

ফেরত আসাদের বেনাপোল থেকে গ্রহনকারী জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের এনজিও সংস্থার প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসন জানান, আমরা ছয়জন ও রাইটস যশোর ছয়জনকে গ্রহণ করেছি। তাদের যশোর নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটে মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দুটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীকালে এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।