ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছেঁড়াদ্বীপে যেতে কড়াকড়ি করায় সেন্টমার্টিনে স্থানীয়দের ধর্মঘট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
ছেঁড়াদ্বীপে যেতে কড়াকড়ি করায় সেন্টমার্টিনে স্থানীয়দের ধর্মঘট

কক্সবাজার: দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করার প্রতিবাদে অনিদিষ্টকালের জন্য ডাক দিয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বিকেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দ্বীপটিতে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা।

ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সম্পতি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সিদ্বান্তের প্রতিবাদে পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

এ কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে- সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট, গামবোট, ইজিবাইক (টমটম), ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় জনসাধারণ।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, রোববার সকাল থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা পর্যটকদের ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া (ছেঁড়াদ্বীপ) যেতে দিচ্ছে না। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ স্থানীয় জনসাধারণ।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে এসে রাত্রিযাপন করা প্রায় দুই হাজারের বেশি পর্যটক ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে পর্যটকদের খাবারের জন্য শুধু খাবার হোটেল চালুর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান জানান ‘সরকারি নির্দেশনা আমরা শুধু বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। কয়েক মাস আগে থেকে ছেঁড়াদিয়ায় পর্যটক যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু পর্যটক আমাদের অগোচরে সেখানে যেতেন। এখন কড়াকড়ি আরোপ করায় আর কোনো পর্যটককে ছেঁড়াদিয়া যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা সাড়ে ১০ হাজার। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় আরও ৪ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের আয় রোজগারের একমাত্র অবলম্বন হলো পর্যটন মৌসুম। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহন করে আয় রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন।

স্পিডবোট ও গামবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, পর্যটকদের পরিবহনের জন্য দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ছেঁড়াদিয়া যেতে বাধা দেওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ রকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এসবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।