ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুর ও পুরান ঢাকায় এডিস মশা বেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
মিরপুর ও পুরান ঢাকায় এডিস মশা বেশি

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ ও ১৬ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি। এ তিনটি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক (ব্রুটো ইনডেক্স-বিআই) ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাওয়া গেছে।

ঢাকা উত্তরের মিরপুর-১০ ও ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় ও  দক্ষিণে রাধিকামোহন বসাক লেন, আওলাদ হোসেন লেন, কোর্ট হাউজ স্ট্রিট, শাঁখারিবাজার ও রায় সাহেব বাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি এডিস মশার উপস্থিতি ছিল। গত ১৮ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন ধরে দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে এ জরিপ চালানো হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়ার নির্মূল এবং এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এ জরিপ চালিয়েছে, যার ফল রোববার প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।

তিনি জানান, ডিএসসিসির ৫৯টি ও ডিএনসিসির ৪১টি স্থানের মোট তিন হাজার বাড়িতে জরিপ চলে। এর আগে বর্ষা মৌসুমে চালানো জরিপে ডিএনসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় বিআই পাওয়া গিয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তখন ডিএসসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজারিবাগ, ধোলাইপাড় ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় সর্বোচ্চ বিআই ৪০ পাওয়া গিয়েছিল।  

আফসানা আলমগীর জানান, তিন হাজার বাড়িতে জরিপ চালিয়ে ১২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। দুই হাজার ৮৭৬টি বাড়িতে তা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ডিএনসিসির আটটি ও ডিএসসিসির ছয়টি স্থানে ব্রুটো ইনডেস্ক ১০-এর বেশি পাওয়া গেছে। ডিএনসিসির ১৯টি ও ডিএসসিসির ৩৭টি স্থানে ব্রুটো ইনডেক্স ১০-এর নিচে। ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে ডিএনসিসির ১৪টি ও ডিএসসিসির ১৬টি স্থানে। যেসব স্থানে এডিস মশা পাওয়া গেছে তার মধ্যে ৫১ দশমিক ৩৪ শতাংশই বহুতল ভবন। এছাড়া ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বস্তি এলাকা, ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ একক ভবন ও দুই দশমিক ৯৮ শতাংশ খালি জমি।

জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জিদ খুরশিদ রিয়াজ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জোবায়েদুর রহমান ও ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরিফ আহমেদ, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
পিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।