ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি

ঢাকা: সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ‘আর্থিক সহায়তা তহবিল’ গঠন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের পাঁচ লাখ টাকা এবং নিহত ব্যক্তির উত্তোরাধিকারীকে ২০ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

দুপুর ২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
 
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে এ সেক্টরের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অযোগ্যতা, অবহেলা, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে নানাভাবে চেষ্টা করেও সরকার বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। জেল-জরিমানা আদায় হচ্ছে। কিন্তু এ আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বলা হলেও দীর্ঘ ১৫ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠন না হওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা তহবিলের অর্থসংস্থানের জন্য নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর অধীনে বিভিন্ন মামলায় যেমন হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের যাবতীয় জরিমানার টাকা এ তহবিলে জমা করা যেতে পারে। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত যানবাহন প্রায় ৪৪ লাখ, বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। প্রতিটি যানবাহন নিবন্ধন, বছর বছর ফিটনেস নবায়ন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুকালে একটি নূন্যতম নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি আরোপ করে এ তহবিলে জমা করা যেতে পারে। সড়ক-সেতু নির্মাণ ও মেরামতকালে ঠিকাদারের অনুকূলে বিল পরিশোধকালে একটি নূন্যতম ফি আদায় করে এ তহবিলে জমা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান সড়ক ও সেতুর টোল আদায়ের একটি নূন্যতম অংশ এ তহবিলে জমা দেওয়া যেতে পারে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে এসব খাত থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় তহবিল সংগ্রহ করা হলে প্রতিবছর অনায়াসে হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা ও নিহত পরিবারের বৈধ উত্তোরাধিকারীকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়াও সম্ভব। তবে এ তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে শুধু মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের কর্তৃত্ব থাকলে দেশের সাধারণ যাত্রী ও পথচারী এ তহবিল থেকে বঞ্চিত হতে পারে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমেদ মজুমদার, যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।