ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ করেছিলেন সফিকুল হক: ড. ইউনূস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ করেছিলেন সফিকুল হক: ড. ইউনূস বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আশার প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক চৌধুরী

ঢাকা: নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আশার প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক চৌধুরীর ক্ষুদ্রঋণের জগতে তিনি আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি দ্রুত গতিতে দেশের আনাচে-কানাচে ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ করেছিলেন।

 

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

শোকবার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আশার প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক শুধু দ্রুত গতিতে দেশের আনাচে-কানাচে ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ করতে পেরেছিলেন তা-ই নয়- তিনি অসম্ভব সাহস নিয়ে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করার জন্য কল্পনাতীত রকমের প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনে ক্ষুদ্রঋণ সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছানোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছেন। তিনি সফল হয়েছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আশার প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল আকস্মিকভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশে এবং বিদেশের অসংখ্য গুণগ্রাহী শোকাহত।

‘ক্ষুদ্রঋণের জগতে তিনি আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেছিলেন। এ ব্যাপারে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা একাডেমিক প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু তিনি কোনো বাধা হিসেবে গ্রহণ করেননি। যে কাজের জন্য তিনি মনস্থির করেছিলেন সে-কাজে তিনি দৃঢ়ভাবে এগিয়ে গেছেন। তার সীমাহীন সাহসই ছিল তার মূলশক্তি। তার সাহস, নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতা তিনি দেরিতে ক্ষুদ্রঋণের কর্মকাণ্ডে যোগ দিলেও তাকে অতিদ্রুত দেশের সবচাইতে অগ্রগামী দুইটি প্রতিষ্ঠানের কাতারে নিয়ে যেতে পেরেছিল।

তিনি বলেন, দেশে আশার মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার পরেও তিনি পৃথিবীর নানা প্রত্যন্তে বিস্তৃত বহু দেশে আশার কাঠামোতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন দেশে ক্ষুদ্রঋণ পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নিয়েছেন। ক্ষুদ্রঋণে মোটেও উৎসাহী ছিলেন-না দেশ বিদেশের এমন বহু একাডেমিক এবং দাতা-সংস্থার নেতারা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তিনি ক্ষুদ্রঋণে বিশ্বাসী করে তাদের সহযোগী করে নিয়েছিলেন।

সফিকুল হক চৌধুরীর প্রসঙ্গে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশে বিদেশে তার কর্মসূচির উপকারভূগী বিশাল জনগোষ্ঠী, তার নেতৃত্বে পরিচালিত অসংখ্য কর্মী বাহিনী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়ানো অসংখ্য কর্মীরা যারা তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিয়োজিত আছেন।  তার বন্ধুবর্গের সঙ্গে তার গুণমুগ্ধ হিসেবে আমিও তার অবদানের কথা স্মরণ করছি। সবার সঙ্গে এক হয়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি। তার মৌলিক অবদানের জন্য দেশের সব মানুষ তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশার প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
এমআইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।