ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাণ্ডারিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক চক্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
ভাণ্ডারিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক চক্র প্রতীকী ছবি

পিরোজুপর: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।  

এ ঘটনায় গত বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।

জানা যায়, একটি প্রতারক চক্র উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য প্রফুল্ল মিশ্রকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চান। এ সময় ইউপি সদস্য তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম সুন্দর মিশ্রর নাম তালিকায় দিয়ে তার মোবাইল নম্বর দেন। একই ইউনিয়নের অপর ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের কাছেও ওই ভুয়া ইউএনও পরিচয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তিনি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ফোন নম্বর দেন। পরে ওই সব মুক্তিযোদ্ধাদের এই ০১৮১৭৩৯৮৭৬৩ নম্বর থেকে ফোন করে বলেন, ‘আমি ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছি, মুজিব বর্ষে সরকার প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের আড়াই লাখ করে টাকা দেবে তাই তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই তালিকায় আপনার নাম রাখা হবে। তবে আপনাকে (প্রত্যেকে) ৩৭ হাজার ২শ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী দিন আমার অফিসে (ভুয়া ইউএনও) গিয়ে চেক নিয়ে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করবেন’। সেইমতে মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম সুন্দর মিশ্র ওই চক্রের দেওয়া নম্বরে (০১৮৮৮২৬৭৫৬৬) মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা, মুক্তিযোদ্ধা কাদের মুন্সি ও রমেন দত্ত মিলে ১১ হাজার ৮শ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা হাবিব দফাদার ১৫ হাজার টাকা পাঠান। বাকি টাকা পরে দেওয়ার কথা বলেন টাকা প্রদানকারী মুক্তিযোদ্ধারা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম সুন্দর মিশ্র বলেন, আমি বিশ্বাস করে ১২ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। পরে বাকি টাকা না পাঠিয়ে বুধবার রাতে ভাণ্ডারিয়া থানায় গিয়ে ওই প্রতারকদের মোবাইল নম্বরে সাধারণ ডায়রি করে আইনি সহায়তা চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ও প্রফুল্য মিশ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতারক চক্রের বিচার দাবি করেন। প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত ওই দুটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন নবীন জানান, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, প্রতারক চক্রটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।