ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পহেলা ফাল্গুনকে ঘিরে ব্যস্ত জারবেরাচাষি আব্দুল আজিজ

জয়ন্ত জোয়াদ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
পহেলা ফাল্গুনকে ঘিরে ব্যস্ত জারবেরাচাষি আব্দুল আজিজ আব্দুল আজিজের বাগানের জারবেরা ফুল।

মাগুরা: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ফাল্গুন মাস। বাঙালিরা ফাল্গুনের প্রথম দিনটি উদযাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

এদিকে একই দিন ভ্যালেন্টাইস ডে বা ভালোবাসা দিবস। একদিনে উদযাপনের জন্য দু’টি উপলক্ষ পেয়েছে বাঙালি।  

দু’টি উপলক্ষেই চাহিদা বাড়ে ফুলের, আর তাতে ব্যস্ততা বাড়ে ফুলচাষিদের। পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তি রঙা পোশাক পরেন জনগণ। আর রমণীদের খোপায় ফুল ও মাথায় শোভা পায় ফুলের মুকুট। ভালোবাসা দিবসেও প্রেমিক-প্রেমিকা ও দম্পতিরা একে অপরকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা জানান।  

ফলে এ দু’টি উপলক্ষকে সামনে রেখে সারা দেশের ফুলচাষিদের মতো মাগুরা পৌরসভার বেলনগর নতুন পাড়ার আজিজ শেখও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দীর্ঘদিন ধরে লাল, হলুদ, সাদা ও গাঢ় লাল রঙের জারবেরা চাষ করে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। এখন জারবেরা ফুলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তিনি পরিচর্যা ও বাজারজাত করেছেন।

তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি জারবেরা ফুলের বাগান করেছেন তিনি। উৎপাদন ভালো হচ্ছে। এ ফুলের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।

ফুলচাষি আজিজ শেখ বলেন, প্রতি বছর বসন্ত বরন, ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, জন্মদিন, বিয়ে, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে এ ফুলের চাহিদা ব্যাপক।

বিদেশি এ ফুলের বাগান গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। তার সাফল্য দেখে হেকমত আলী, আছাদুল ইসলাম ও শামীম হোসেনসহ গ্রামের অনেক বেকার যুবক এখন এ ফুল চাষ করে সফল হচ্ছেন।

তারা জানান, দেশে জারবেরা ফুলের মোট চাহিদার বড় অংশের যোগান দেয় বেলনগর গ্রাম, যা নীরবে অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করছে।
 
দুই একর জমিতে গড়া আব্দুল আজিজের জারবেরা ফুলের বাগান। বাগানে রয়েছে চারজন কার্মচারী, যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন এ বাগানে।
 
বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে বাগানেই কেটে জারবেরা ফুলের তোড়া বাঁধেন তারা। বিকেল ৫টায় বাজারজাতকরণ পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন৩০০ টাকা করে পান তারা।
আব্দুল আজিজ শেখ বলছেন, আমি ছয় বছর ধরে এ ফুলের চাষ করছি। ঢাকার আগারগাঁওয়ে ফুল বিক্রি করি। প্রতি হাজার ফুল ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার১০০টি করে জারবেরা ফুলের তোড়া বেঁধে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাগুরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, বেলনগরে বাণিজ্যিকভাবে জারবেরা ফুলের চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন আব্দুল আজিজ শেখ। তাকে দেখে আরও অনেক যুবক এগিয়ে আসছেন। ফুলের চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সচল রাখার চেষ্টা করছেন। ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণকে সামনে রেখে ভালো দাম পাবার আশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।  

 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ফুল চাষের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। ফলে ফুল চাষ হতে পারে দেশের বেকারত্ব দূর করার অন্যতম হাতিয়ার।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮  ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।