ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিআইডির জালে নারীসহ গ্রেফতার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিআইডির জালে নারীসহ গ্রেফতার ৩ নারীসহ গ্রেফতার ৩

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা প্রতারণার মামলায় নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতরণার কাজে ব্যবহৃত একটি টেলিফোন সেট, ছয়টি মোবাইল, মসজিদ ও বিল্ডিং তৈরির নকশা উদ্ধার করা হয়।

 

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা প্রতারণার মাধ্যমে মাধ্যমে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।  

গ্রেফতাররা হলো, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানার বালিয়াপাড়া এলাকার রেজ্জাক মাস্টারের ছেলে সুরুজ্জামান মিয়া (৫১), যশোর জেলার বাগারপাড়া থানার জামালপুর এলাকার আজগর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান দিপু (২৫) ও নরসিংদী সদর উপজেলার খাকসিয়া পাঁচদোনা এলাকার সুন্দর আলীর মেয়ে রিনা বেগম (৪০)। তবে তারা বিভিন্ন সময় তাদের একাধিক ছদ্ম নাম ব্যবহার করতো।

সিআইডি জানায়, গ্রেফতার দিপু কোরিয়ান কোম্পানিতে কাজ করে পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ফার্ণিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুকের কাছ থেকে গত বছরের জুন মাসে দশ লাখ টাকার ফার্ণিচার কিনবেন বলে কোটেশন চায়। এর কয়েকদিন পর তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চট্টগ্রাম রোডে সাইনবোর্ড সংলগ্ন সাদ্দাম মার্কেটের পাশে তাদের অফিসে আসতে বলে ব্যবসায়ী ফারুককে। অফিসে গেলে গ্রেফতারদের মধ্যে একজন কোম্পানির এমডি জামিল, একজন এমডির বোন জামিলা, একজন ম্যানেজার আল আমিন, একজন কান্ট্রি ম্যানেজার জহির, একজন জমির ক্রেতা ফয়সাল ও অপর জন জমি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ পরিচয় দিয়ে কোম্পানির নামে একটি জমি কিনবে বলে ফারুককে জানায়।

পরে তারা বায়নাপত্র করতে ও জমি কিনতে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা লাগবে বলে ফারুকের কাছে টাকা চায়। তাদের কথায় ফারুক নগদ ১০ লাখ ও বিভিন্ন সময় আরও পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তিদের আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে ফারুক। মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার  রাতে ঢাকার মাতুয়াইল মহিলা মাদ্রাসা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।  

সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জানান, গ্রেফতাররা মোবাইল নম্বর ও বাসা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোট এক কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। প্রতারক চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।