ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবহণ শ্রমিকদের স্ট্যান্ডবাজি, সিসিক মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
পরিবহণ শ্রমিকদের স্ট্যান্ডবাজি, সিসিক মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

সিলেট: সিলেট সড়ক সম্প্রসারণে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন মাইক্রোবাস পরিবহণ শ্রমিকরা। অবৈধ স্ট্যান্ড দখলে রাখতে মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নামেন।

নগরের চৌহাট্টায় সড়কে বাঁশ ফেলে জনভোগান্তি সৃষ্টি করেন।

 

শনিবার বিকাল পৌণে ৫টার নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট ঘটে এমন ঘটনা। শ্রমিকরা পয়েন্টের অদূরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনের সড়ক আটকে রাখে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটান। এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রেখে অশালীন ভাষায় স্লোগান দিতে থাকেন।

 

স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়ক সম্প্রসারণ ও ফুটপাত নির্মাণের জন্য সড়ক দখল করে গড়া অবৈধ স্ট্যান্ড অপসারণ করতে অভিযান চালানো হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই স্ট্যান্ড উচ্ছেদে যান।

 

এসময় মেয়রের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে সড়কে বাঁশ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহণ শ্রমিকরা। ওই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে উঠলে শ্রমিকরা সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ধাওয়া করেন। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।

 

সিসিক সূত্র জানায়, নগরের সৌন্দর্য বর্ধনে চলমান কাজের অংশ হিসেবে ফুটপাতে রেলিং দিয়ে ফুলের টব বসানো উদ্যোগ নিয়ে সিসিক। এ কারণে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেন মেয়র। কিন্তু শ্রমিকরা মেয়রের কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো স্ট্যান্ডের দলদারিত্ব রাখতে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে সড়ক অবরোধ করেন এবং সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ধাওয়া করেন।

 

আন্দোলনকারী শ্রমিকের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে গাড়ি পার্কিং করে আসছিলেন। এখন গাড়ি রাখার জন্য চাঁদা না দেওয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।

 

স্থানীয়রা আরো জানান, নগরীর চৌহাট্টা থেকে রিকাবিবাজার ভিআইপি সড়ক এবং চৌহাট্টা থেকে দরগাহ গেইট পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক হলেও রাস্তা জুড়ে রাখেন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চালকরা। ইতোমধ্যে এই স্থানকে ঘিরে সমিতিও গড়ে তুলেছেন শ্রমিকরা। বাধা বিপত্তি না পড়ায় নিত্যদিনের দখলদারিত্ব সমস্যা স্থায়ী রূপ লাভ করে। এতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয় নগরবাসীকে।  


এ ব্যাপারে জানতে, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

 

এ ব্যাপারে এসএমপির কোতোয়ালি মেডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফরহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে পরিবহণ শ্রমিকরা সড়ক দখল করে রাখে। তারা মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।  

বিষয়টি সমাধানের জন্য রাতে জেলার পরিবহণ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপ করেছেন। পরবর্তীতে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদির কার্যালয়ে বৈঠক বসে অবৈধ স্ট্যান্ড ছেড়ে যেতে শ্রমিকরা দু’দিন সময় নিয়েছেন। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকেও শ্রমিকদের সড়ক দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্ট্যান্ড ছেড়ে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এনইউ /এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।