ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভালোবাসা দিবস: ফুলের বাজারেও করোনার থাবা

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
ভালোবাসা দিবস: ফুলের বাজারেও করোনার থাবা ...

ঢাকা: ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তরুণ-তরুণী, মাঝ বয়সী এমনকি বৃদ্ধদের অনেকে দিবসটি উদযাপন করেন।

পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসে শাড়ি-পাঞ্জাবি পরার ধুম পড়ে। বিশেষ করে মেয়েরা লাল-হলুদ শাড়ির সঙ্গে নানা রকমের ফুল দিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন। আর ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপহার ফুল।

বছরের সবচেয়ে বেশি ফুল কেনা-বেচা হওয়া দিনগুলোর মধ্যে ভালোবাসা দিবসটি অন্যতম।

করোনার কারণে গত এক বছর মন্দার মধ্যে কাটিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। বিগত দিনগুলোর তুলনায় ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বেচাকেনা কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ফুল বিক্রি যথেষ্ট কম বলে জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। গতবারের চেয়ে এবার ফুলের দামও কিছুটা কম।

ভালোবাসা দিবসের আগের দিন শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও ফুলের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে উৎসবের আমেজে খুচরা ক্রেতা ও পাইকাররা ফুল কিনছেন। এখানে সকালে ফুল পাইকারি বিক্রি হয়। দিনের বাকি সময়ে খুচরা বিক্রি হয়।

আগারগাঁওয়ের ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে গোলাপ। এরপরই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফুলের তৈরি টায়রা, গাঁদা ফুলের মালাসহ বিভিন্ন রকমের ফুল।

প্রতি পিস গোলাপ ২০-৩০ টাকা, চাইনিজ গোলাপ ৫০-৭০ টাকা, রজনীগন্ধা ২০-২৫ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস ৩০-৩৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২০ টাকা, সূর্যমুখী ১০ টাকা, অর্কিড ১০০ টাকা, বিভিন্ন ফুলের তৈরি টায়রা ৯০-১০০ টাকা, গাঁদাফুলের তোড়া ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সবরকম ফুলের দাম প্রতিটি পিসে ১০-৩০ টাকা বেশি।

ফ্লাওয়ার জোনের মালিক আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি অনেকে বেড়েছে। কিন্তু গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবার ফুলের বিক্রি অনেক কম।

তিনি বলেন, করোনা অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। করোনার কারণে অনেকে অনেক সমস্যায় আছে ফুল কিনছে কম। আবার অন্য বছরগুলোতে মানুষ যেভাবে বের হতো এবার সেভাবে ঘুরতে বের হচ্ছে না, আড্ডা কম দিচ্ছে।

ফুল বিক্রেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি অনেক বাড়বে আশা করছি। সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে ফুল অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে সত্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত অন্য বছরগুলোর তুলনায় ফুল বিক্রি কম।

গোলাপ বিতানের মো. ইলিয়াস বলেন, গত বারের চেয়ে এবার ফুলের বিক্রিও কম, দামও কম।

আগারগাঁও থেকে নিজের স্ত্রীর জন্য ফুল কিনেছেন আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, মাঝে মাঝেই ফুল কিনি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আজ কিনলাম। ফুলের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, দাম গত বারের মতোই। বরং কিছুটা কম মনে হয়।

আগারগাঁও থেকে ফুল কিনেছেন রাফিয়া জাহান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচিতদের অনেকে ফুল কিনেছেন কিন্তু অন্য বছরগুলোর তুলনায় সেই সংখ্যা এবং আমেজটা কম মনে হয়।

রাফিয়া নামে আরেক ক্রেতা বলেন, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতাসহ নানা কারণে অনেকের ঘুরতে বেরোনো এবং ফুল কেনা, আড্ডা দেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে মনে হয়। আবার করোনা ঝুঁকির কথা চিন্তা করে অনেকে বাসা থেকে কম বের হচ্ছে। এসব কারণে এবার আমেজটা কম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।