ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সালাম’ না দেওয়ায় ১৬ বছরের হাসানকে খুন করা হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
‘সালাম’ না দেওয়ায় ১৬ বছরের হাসানকে খুন করা হয়

ঢাকা: ‘সালাম’ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মুগদার মাণ্ডা এলাকায় হাসান মিয়াকে (১৬) খুন করেছে কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত ওই গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

গ্রেফতার ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদার মাণ্ডা এলাকায় কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসান নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। নিহত হাসান একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। পরিবারের সঙ্গে মাণ্ডার সাবেদ আলী বাসায় ভাড়া থাকতো। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভারারা গ্রামে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তৃতীয় হাসান।

ঘটনার পর গত রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মুগদাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, মূলত সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসানকে খুন করেছে। হাসান তাদের সালাম দেয়নি বলে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল তানভীর। তার সঙ্গে আরও সাত-আটজন জড়িত। মূলহোতা তানভীরসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আবারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরাও তৎপর রয়েছি। গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের নিম্নবিত্ত আয়ের অভিবাবকদের সন্তানরা এসব কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং এ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে। ছোট ভাই বড় ভাইকে সালাম দিচ্ছে না, সিগারেট খাচ্ছে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব খুনের ঘটনাগুলো ঘটে। এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। সেসঙ্গে এলাকার সচেতন নাগরিকদের খেয়াল রাখতে হবে।

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের যারা সেল্টার (আশ্রয়-প্রশ্রয়) দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ে যদি রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরইমধ্যে কমিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, আমাদের বিট পুলিশের কার্যক্রম তরান্বিত হওয়ার পর তাদের প্রথম কাজ হলো এলাকার মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বন্ধ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এসজেএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।