ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইন-আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আহ্বান

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
আইন-আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আহ্বান ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের সব আইন-আদালতে সহজ বাংলা ভাষা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট সংস্কৃতিজনেরা। একইসঙ্গে প্রমিত বাংলা ভাষা ব্যবহারের প্রতিও গুরত্বারোপ করেছেন তারা।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অমর একুশের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট অমর একুশের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সেখানেই এ আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, এবারের একুশ আমাদের কাছে নতুন তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে। একদিকে যেমন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, আরেকদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। আমাদের হৃদয়ে, আমাদের চেতনায় তাই এটি অনন্য হয়ে থাকবে। একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য নানা কথা বলি, বক্তৃতা দিই, কিন্তু সারাবছর সেই উদ্যোগ দেখি না।

‘আমাদের জনজীবনে যে আমরা বাংলাকে কত অবহেলা করেছি, তার অনেক নজির দেখা যায়। আমাদের দোকান-পাটের সাইনবোর্ড একসময় যথেষ্ট বাংলায় ছিল, সেটা আবার ইংরেজিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, আইনের ভাষা এমন কঠিন করে রাখা হয়েছে এবং বেশিরভাগ বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকরা রায় দেন ইংরেজিতে। যারা বিচার প্রার্থী, তাদের জন্য এই ভাষা দুর্বোধ্য। সুতরাং আমরা চাই আইনের ভাষা, আদালতে সব জায়গায় বাংলা ব্যবহৃত হবে এবং সেটি হতে হবে সহজ বাংলা, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে, দোষ করলে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালত তার বিচার করেন। কিন্তু তারা যে প্রতিনিয়ত সংবিধানের নিয়ম ভুলে বিদেশি ভাষা ইংরেজিতে কাজ পরিচালনা করছেন, সেটার কি হবে! সরকারি আমলারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ কোথাও একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে না। আমরা চাই এ দেশে বাংলা ভাষার সুন্দর ব্যবহার হোক, সংস্কৃতির জয় হোক।

অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াসসহ বিশিষ্ট সংস্কৃতিজনেরা।

আয়োজনের শুরুতে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয় জোটের পক্ষ থেকে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত এবং একুশের গান পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। ঘোষণা পাঠ করেন ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু। আলোচনা শেষে সঙ্গীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন আরিফ রহমান, রেজীনা ওয়ালী লীনা এবং রফিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।