ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপকল্প বাস্তবায়নে উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
রূপকল্প বাস্তবায়নে উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই

ঢাকা: সরকারের রূপকল্পগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে অর্জন করতে উৎপাদনশীলতার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, রূপকল্প ২০৩১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পায়নকে মূলভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

সরকার আধুনিক শিল্পায়নে বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত “ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এবং ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এর ট্রফি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ৩১ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় দু’টি ট্রেডবডি ও অ্যাসোসিয়েশনকে।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনপিও’র পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।  

এতে উপস্থিত ছিলেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক/প্রতিনিধিসহ সরকারি ও বেসরকারি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এনপিও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো পাশাপাশি সবুজ উৎপাদনশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করে তাদের কার্যক্রম চলমান রেখেছে।  

পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, কল-কারখানায় সবুজ উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

পুরস্কার প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প কারখানার জন্যও মডেল হিসেবে পরিচিত হবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও এর উন্নয়নে কাজ করছে। কল-কারখানায় শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কার্যক্রমে সহায়তা করছে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে মালিক, শ্রমিক, ভোক্তা এমনকি সরকারও তার সুফল পেয়ে থাকে। দক্ষতার সঙ্গে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন মালিক পক্ষের আকাঙ্ক্ষা থাকে সব সময়েই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারির এ চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিল্পখাত আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা ও এফবিসিসিআই এর সব সদস্য ও অ্যাসোসিয়েটদের সফল চেষ্টায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পূর্বে ন্যায় ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থা এবং শিল্প উদ্যোক্তাসহ সবাইকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ সফলভাবে অর্জন করতে হবে। অস্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে শিল্প উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।