ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কঠোর হাতে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
কঠোর হাতে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন

ঢাকা: কঠোর হাতে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

ভেজাল বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন তাদের বোঝানো, তাদের ভেতরে সচেতনতা সৃষ্টি, অপরদিকে কঠোর হস্তে সেটা দমনও করতে হবে। দুই দিকেই ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবে দরকার। সেই ব্যবস্থা আপনাদের নিতে হবে।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভেজালের ব্যাপারে আমি বলবো যে, যারা ব্যবসা করতে চায় বা ব্যবসা করছে, দুই পয়সা বেশি কামাই করার জন্য তারা এ ভেজাল দিতে থাকে বা পচা গন্ধ খাবার আবার ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে একদিকে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আপনাদের যেটা খরচ হবে, সেটা নিয়েন, লাভের অংশটা ওভাবে হিসেব করেন। কিন্তু এভাবে ভেজাল দিয়ে মানুষের ক্ষতি করবেন না।

অনলাইনে খাদ্য সরবরাহকারীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অনলাইনে কিন্তু অনেক কেনা বেচা হচ্ছে। এমনকি খাবারও ঘরে ঘরে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। যারা করছে, সঠিক খাদ্যটা দিচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।

বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কেন্দ্রীয় ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি হবে। কিন্তু তার সাথে সাথে বিভাগীয়ভাবে করা একান্তভাবে প্রয়োজন। ...গ্রাম পর্যায় যাতে ফুড টেস্ট করা যায় সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়ার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাব, ইতোমধ্যে আপনারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোতে গ্রেডিং স্টিকার দিয়ে দিচ্ছেন এবং মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ।

এই উদ্যোগকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  এ কাজটা শুধু রাজধানীতে করলে হবে না। এটা সারা বাংলাদেশে করা দরকার। সেদিকে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানোর জন্য আপনারা যে পদক্ষেপই নেবেন, এই ব্যাপারে যা সহযোগিতা করা দরকার করব।

সুষম খাদ্য গ্রহণে মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নীতিটা হচ্ছে আমাদের দেশে মানুষের খাদ্যের চাহিদা আমরা নিজেরা উৎপাদন করবো, আমরা নিশ্চিত করবো। সেই সাথে সাথে পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় এমন ছিল আমাদের দেশের মানুষ কোনোমতে একটু ভাত পেলে, ওই নুন-মরিচ দিয়ে চারটা ভাত খেতে পারলে, পেট ভরলে একবারে খেয়ে নিয়ে মনে করে যে, আমি খেলাম। কারণ, দারিদ্র্যের কষাঘাতে তারা জর্জরিত ছিল। আল্লাহর রহমতে এখন ধীরে ধীরে আমাদের দারিদ্র্যের হার কমেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। মানুষ এখন যে টাকা কামাই করে তা দিয়ে শুধু ভাত না, সাথে আমিষ কিনতে পারে।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১/আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা
এমইউএম/এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।