ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুকুর-ডোবা-খাল-প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট নিরুৎসাহিত করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
পুকুর-ডোবা-খাল-প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট নিরুৎসাহিত করা হবে

ঢাকা: পুকুর, ডোবা, খাল-বিল, নদী, কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। একই সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাশয় ও পুকুর বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় যে কোনো ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  

এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ওপেন ডাম্পিং বন্ধ করতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো পরিকল্পিত উপায়ে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনে জরুরিভিত্তিতে কার্যক্রম নেবে। পাশাপাশি জৈব বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট অথবা জ্বালানি তেল তৈরির প্ল্যান্ট তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করবে।

এছাড়া মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা শহর ও পৌরসভার মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জরুরিভিত্তিতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরিবেশবান্ধব ইনসিনারেটর, ইটিপি ইত্যাদি স্থাপন করতে হবে।

পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে জৈবপচনশীল ব্যাগের ব্যবহারে সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহ দেবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক রি-সাইক্লিং শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। সীমিত পরিসরে ইপিআর পলবসি প্রসাধনী পণ্য এবং খাদ্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে।  

ইটভাটা আইন ২০১৯ বান্তবায়ন কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস অথবা সরকারি প্রণোদনা দিতে হবে।  

পাহাড়-প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড়কাটা বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কাটার প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশী সংস্থা থেকে কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে ও অবৈধভাবে পাহাড় কাটার জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইবুনাল গঠন করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।