ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারাগারে সাঈদীকে আপ্যায়নের মানে হয় না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
কারাগারে সাঈদীকে আপ্যায়নের মানে হয় না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো কুখ্যাত রাজাকারের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

তিনি বলেন, সাঈদীর আরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে, রিভিউ হতে পারে। আমি বলতে চাই, বিষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

তিরি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার অনুভূতির কথা বলবো। আমি সরকার বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বলছি না। আমার অভিব্যক্তি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো একটা কুখ্যাত রাজাকার, যুদ্ধকালীন সময়ে তার যে ইতিহাস সেটা সবাই জানি, যিনি একের পর এক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল ঘটনা ঘটনোর জন্য দায়ী। তাদের সমর্থকেরা জামায়াতে ইসলাম, ছাত্রশিবির বা আরেকটা ভার্সন আছে হেফাজতে ইসলাম—সবাই না, সবার কথা বলছি না, উগ্রপন্থী যারা। যখন সাঈদীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, যখন সাজা হয়ে যাচ্ছে তখন তারা চাঁদের মধ্যে সাঈদীর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় তুলে ফেললো। তার মানে কতবড় পুণ্যবান লোক, আলেম! এই সাঈদীর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে এভাবে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে, ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার মানেটা কী? এই জিনিসটাকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

ডা. মুরাদ হাসান আরও বলেন, কোনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং আমি বলব কিছু মানুষ ছাড়া যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কেউই চায় না—এই রাজাকারটাকে এভাবে কারাগারে সুন্দরভাবে আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না। এর বিচার হওয়া উচিত। আমি বলতে চাই, বিষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ আপনারাই সবচেয়ে বড় শক্তি। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে যদি তাকান মিডিয়াতে যারা কাজ করেন, তাদের চেয়ে কেউ বেশি পাওয়ারফুল না।

বিচারের মাধ্যমে সাঈদী জেলে আছেন। বিচার কি ঠিক হয়নি, তাহলে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ না। আমি বলছি যে, তার যে অপরাধ সে অপরাধের মাত্রাটা মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের, সাধারণ মানুষ যারা, দেশপ্রেমিক নিরীহ মানুষ তাদের এই বিষয়টা খুব কষ্ট দেয়।

কঠোর শাস্তি বলতে কি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চান? রিভিউ চাচ্ছেন? জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা হতে পারে। আমার বড় ভাই বিচারপতি, হাইকোর্টের রিট পিটিশন বেঞ্চে আছেন। আমি ভাইয়ার সঙেগ্ কথা বলেছি, এটার আইনি প্রক্রিয়াটা কী হতে পারে। আইনমন্ত্রী মহোদয় এটার সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলছি এজন্য যে, আসলে ইস্যুটা আমাদের জন্য একটা পীড়াদায়ক। অন্য কিছু না। আমি কোনো চ্যালেঞ্জ বা কোনো কিছু নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি। আমি বলতে চাচ্ছি যে, ইস্যুটা একটা পীড়াদায়ক ইস্যু।

অপরাধ অনুযায়ী কি শাস্তি হয়নি, এটা কি আপনি মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, আমি এটা নিয়ে কথা আর বাড়াতে চাচ্ছি না, এটা বোধহয় একটু.. ই হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আমি কিন্তু অন্য কিছু মিন করতে চাইনি। আমি আহ্বান জানিয়েছি, আমি ওটার মধ্যেই আছি। আমার মনে হয় আরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে, রিভিউ হতে পারে। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলব। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া আমি বলতে পারি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।