ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেললাইনের দু’পাশে আবারো মৌসুমি বাজার, মৃত্যু ঝুঁকি 

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
রেললাইনের দু’পাশে আবারো মৌসুমি বাজার, মৃত্যু ঝুঁকি 

নীলফামারী: আবারো বসছে পুরাতন কাপড়ের বাজার বসেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেললাইনের উভয়পাশ দখল করে। দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে পুরনো শীতবস্ত্রের মৌসুমী বাজার।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে, ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর স্টেশন থেকে দক্ষিণে আউটার সিগন্যাল হয়ে হাতিখানা পর্যন্ত রেললাইনের উভয় পাশে দুই কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের নতুন বাজার। ওই এলাকায় রেললাইনের উপরেই বসানো হয়েছে দোকানপাট।  

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড দেলওয়ার হোসেন জাভিস্কোর সঙ্গে কথা হয় সেখানে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় দোকানের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে ওই এলাকায় ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোপূর্বে রেলগেট এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের একজন সদস্যসহ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। তিনি রেলপথ এলাকা থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।

রেলপথের অবৈধ দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, শীতকে ঘিরে এলাকাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। জায়গাটি শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে হওয়ায় আশেপাশে জেলা ও উপজেলার ক্রেতারা এখানে ভিড় করেন। তিনি এসব দোকানপাট উচ্ছেদ না করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, শহরে কোনো হকার্স মার্কেট নেই। আমাদের উপায়ও নেই। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাধ্য হয়ে রেলপথে দোকান সাজিয়েছি। মাঝে মধ্যে পুলিশ আমাদের পেটে লাথি মারে, তখন আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়।  

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, দু'একদিন পরপর ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে কিন্ত কোনো ফল মিলছে না। রেল চলাচলে আবারও এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী বাংলানিউজকে জানান, রেলপথের উভয় পাশ ক্লিয়ার না থাকলে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার (চালক) অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।  

সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ের আইন অনুযায়ী রেলপথের উভয় পাশের ১০ ফুট জায়গার মধ্যে স্থাপনা বসানো যাবে না। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে পুলিশ কঠোর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।