ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আছপিয়ারা ভূমিহীন নয়, মিলেছে জমির সন্ধান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
আছপিয়ারা ভূমিহীন নয়, মিলেছে জমির সন্ধান

ভোলা: বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ বরিশালের সেই আছপিয়ার পরিবারের নিজস্ব জমির সন্ধান মিলেছে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হালিমাবাদ গ্রামে।

সাড়ে ১০ শতাংশ জমির মালিক সেই আছপিয়া ইসলামের পরিবার। এমনটিই নিশ্চিত করেছেন আছপিয়ার চাচা মোশারেফ হোসেন মাতাব্বর।

তবে আছপিয়াদের পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বরিশালের হিজলায় বসবাস করায় ওই সম্পত্তির কোন খোঁজ নেয়নি তারা। তার দাদার বাড়িতে ৮৪ শতাংশ জমির মধ্যে আছপিয়ার পরিবার সাড়ে ১০ শতাংশ পৈত্রিক সুত্রে মালিক।

আছপিয়ার চাচা মোশারেফ বাংলানিউজকে জানান, তার বাবা মৃত মকবুল হোসেন মাতাব্বরের চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ৮৪ শতাংশ জমির মালিক। তার ৬ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন, আমির হোসেন,হেলাল উদ্দিন, মোশারেফ হোসেন, শফিকুল ইমলাম, অহিদ উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, মসিনা খাতুন ও মমতাজ বেগম।

এরমধ্যে আছপিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম দুই বছর আগে মারা যান। তিনি ছিলেন ছেলেদের মধ্যে চতুর্থ সন্তান। এছাড়া আরেক ভাই নিজাম উদ্দিন ও বোন মসিনা খাতুনও মারা যায়। বর্তমানে ওই পরিবারে জীবিত আছেন ৪ ছেলে ও এক মেয়ে। সেই হিসেবে ৮৪ শতাংশ জমির মধ্য আছপিয়ার পরিবার পৈত্রিক সুত্রে সাড়ে ১০ শতাংশ জমির মালিক।

আছপিয়ার চাচা মোশারেফ আরও জানান, ২৫ বছর আগে আছপিয়ার বাবা শফিকুল ইমলাম তার বড় ভাইর সাথে হিজলা চলে যান। সেখানেই তিনি বিয়ে করেন এবং বসবাস শুরু করেন। তারা তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে খুব প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা আসতেন না। তবে তাদের সম্পত্তি এখনো আছে। যার মালিক আছপিয়ার পরিবার।

আছপিয়ার বাবা মৃত শফিকুল ইসলাম হিজলাতে একটি ফার্মের চাকুরি করতেন। গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি থাকলেও তারা তা ভোগদখল করতে আসেননি। তবে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এখনও আছে।  

এদিকে আছপিয়া ভূমিহীন হওয়ার বলেনছিলেন, হিজলায় আমাদের কোন জমি নেই,বাবা আমাদের জন্য কিছু রেখে যেতে পারেননি আর যদি রেখেও গিয়ে থাকেন আমাদেরকে বলতে পারেননি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের বাড়ি ভোলা সেখানে কারও সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। ফলে সেখানে কিছু আমাদের আছে কিনা তাও জানানেই। আর সেখানকার কোন সম্পত্তি আমাদের ভোগদখলেও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।