ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে খুলনায় বিজয় মেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে খুলনায় বিজয় মেলা

খুলনা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনায় দিনব্যাপী বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মহানগরীর দৌলতুন্নেছা কিন্ডার গার্টেনে এ মেলার আয়োজন করে গুণীজন স্মৃতি পরিষদ।

এছাড়া মেলার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও পিঠাসহ নানা ধরনের স্টল।

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। বৃহত্তর খুলনা জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৬৯ এর ছাত্রনেতা শ্যামল সিংহ রায়, রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, সিটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল, বিশিষ্ট নাগরিক আম্বিয়া খাতুন, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জাফর ইমাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামিমা সুলতানা শিলু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ সেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, মুক্তি শব্দটি জাতির জন্য আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর জাতির অনেক অগ্রগতি এবং উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্র অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধ করে পাক-বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। ১৯৬৬ সালে নিজের আঙুলের একটি অংশ বিশেষ কেটে রক্ত দিয়ে পোস্টারে স্বাধীনতার কথা লিখেছি। এ স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য বন্দুকের দোকান লুট করতে হয়েছে। জীবনকে বাজী রেখে ইউডিএফ ক্লাব, গল্লামারী রেডিও সেন্টার, পাইকগাছা, কপিলমুনি, বারোআড়িয়া ও শিরোমণি এলাকায় যুদ্ধ করেছি। অনেক সহযোদ্ধাকে হারাতে হয়েছে। অনেকেই পঙ্গু হয়েছেন। আত্মত্যাগ ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ প্রিয় স্বাধীনতা। আজকের প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হবে।

সকালের অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিরা স্টলগুলো ঘুরে-ঘুরে দেখেন। এ সময় শিশু-কিশোর ও নারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকুর কাছ থেকে যুদ্ধের নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।