ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার সৈনিক প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার সৈনিক প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: ২০৪১ সালের উন্নত দেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১ উদযাপন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

প্রযুক্তি শিক্ষায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে থেকে বলতে পারি আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই যে আমাদের দেশটা যেভাবে প্রযুক্তি শিক্ষায়, জ্ঞানভিত্তিক আমরা যেই সমাজ করতে চাই, আমাদের জনসংখ্যাকে জ্ঞানভিত্তিক করতে চাই সেটা করার পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

‘অবশ্যই বাংলাদেশ যে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ হবে, সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। ’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও কিন্তু তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু তারা আজকে তৈরি করছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবাটা পাবে, পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বিজয়ীদের হাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ করে এ ছোট্ট শিশুদের। সেটা দেখে আমার মনটা ভরে গেল এজন্য ২০৪১ সালের বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। তাহলে কাদের দিয়ে সেই বাংলাদেশটা হবে। আজকে এ পুরস্কার দেওয়ার মধ্য থেকে আমাদের অনেক নতুন প্রজন্ম তারা যে পুরস্কার পেল এবং তাদের যে মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হলো আমার এখন আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই।

নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ রূপকল্প ২০২১-এর যে চিন্তা চেতনাগুলো ছিল, লক্ষ্যগুলো ছিল সে লক্ষ্যটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম তাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে।

নাগরিক সেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুফলের কথা তুলে ধরেন টানা তিনবারের সরকার প্রধান।

নতুন প্রজন্মের বিকাশে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ যে আমাদের ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে তাদের যে মেধা, তাদের যে মনস এটা বিকশিত হবার সুযোগ এটা এ ডিজিটাল বাংলাদেশ না করলে এটা বোধ হয় কখনো সম্ভব হতো না বা তাদের ভেতরে এ যে মেধাটা রয়ে গেছে সেটাকে বের করে নিয়ে আসা এবং সেটাকে দেশের কাজে লাগানো। এটাই ছিল সব থেকে বড় লক্ষ্য। আমি মনে করি সেখান থেকে আমরা সত্যিই অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।

ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় যে এটা সব খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। এ ডিজিটাল ডিভাইস আমরা রপ্তানি করতে পারি। আর তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যে ২০২৫ সাল নাগাদ এ ডিজিটাল ডিভাইস খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি উন্নীত হবে।

বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, চট্টগ্রাম’; ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন ও আইটি বিজনেস সেন্টার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, সিলেট’; ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি; ইনফো সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।