ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি ...

ফরিদপুর: অবশেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মনিরা (১৮) নামে এক তরুণীকে অস্ত্রোপচারের পর পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) তিন সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানকে এ তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। অপর দুই সদস্য হলেন- গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের কামরুজ্জামান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই ওই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মনিরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকার বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনাটি ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মনিরা খাতুন (১৮) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে ২০২০ সালের ৩ মার্চ সার্জারি বিভাগের ইউনিট-২ তে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হয় মনিরার। এ সময় একটি কাঁচি মনিরার পেটে রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক। ঘটনার প্রায় দুই বছর পর শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ওই হাসপাতালেই পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তরুণীর পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়।

আরও পড়ুন >>> 
অবশেষে মনিরার পেট থেকে বের করা হলো কাঁচিটি 
পেটে কাঁচি রেখেই অপারেশন শেষ!

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।